ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২:১৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২২:১৭, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাষ্ট্রপতি বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিচারপতি আখতারুজ্জামানের স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্রটি গত ৩১ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল এবং পরবর্তীতে গত ৭ সেপ্টেম্বর তা গৃহীত হয়।
তদন্ত এবং পদত্যাগ
এর আগে, ২৩ মার্চ, ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশ দেন। কাউন্সিল পরে ২৫ জুন তাকে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তলব করে। তিনি ১ জুলাই কাউন্সিলের সামনে হাজির হয়ে অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে নিজের পক্ষে যুক্তি দেন। এরপর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ২৬ আগস্ট তার চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত করে।
অন্যান্য বিচারপতিদের পরিস্থিতি
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে প্রধান বিচারপতি অভিযোগের কারণে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারককে তাদের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন। তাদের মধ্যে বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিন গত ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে একটি স্বাক্ষরিত চিঠি জমা দিয়ে পদত্যাগ করেন, রিপোর্ট ইউএনবি’র।
অন্য দুজন—বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন—তাদের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিশ্চিত হননি। দু'জনকেই প্রাথমিকভাবে ৩১ জুলাই, ২০২২ তারিখে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল এবং ৩০ জুলাই, ২০২৪ তারিখে তাদের ছয় মাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
এছাড়াও, আরও দুজন বিচারপতি—বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস—বয়সসীমায় পৌঁছানোর পর অবসর গ্রহণ করেছেন। বিচারপতি খান ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে অবসর গ্রহণ করেন, আর বিচারপতি দাস ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে অবসর গ্রহণ করেন।
পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর রাষ্ট্রপতি এই বছরের শুরুতে আরও দুজন বিচারককে অপসারণ করেন। বিচারপতি খিজির হায়াতকে ১৮ মার্চ, ২০২৫ তারিখে এবং বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানকে ২১ মে, ২০২৫ তারিখে অপসারণ করা হয়।
সর্বশেষ এই ঘটনায়, বিচারপতি আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে। বর্তমানে, আরও চারজন বিচারকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্তাধীন রয়েছে।