ঢাকা, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

মিরপুর ঢাকার অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১:২৬, ১১ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৫২, ১২ আগস্ট ২০২৫

মিরপুর ঢাকার অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে

প্রতীকি ছবি।

মিরপুর ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার কারণে। মিল্ক ভিটা, রেনাটা, বেনারসী পল্লী সহ হাসপাতাল, রেস্তোঁরা, শপিংমল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান মিরপুরকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।   

প্রায় ১৮ লাখ লোকের বাস এই মিরপুরে। একাধিক স্থানে গড়ে উঠেছে ফুডকোর্ট, চা-কফির ক্যাফে, পাইকারী ও খুচরা কাঁচা বাজার, মুদি দোকান ইত্যাদি। এক অসমর্থিত সূত্র অনুযায়ী মিরপুরে দৈনিক বেশ কয়েক শত কোটি টাকার ব্যবসা বাণিজ্য হয়ে থাকে। কেউ কেউ মনে করেন, তৈরি পোশাক খাত হিসেবে রাখলে এই পরিমাণ ৫০০-৭০০ কোটি টাকার কম কবে না। মেট্র রেল চালু হবার পর থেকে এই এলাকার গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ মনে করেন।

মিরপুরের অর্থনীতির মূল খাত, উপখাত

জনসংখ্যা ও ভোক্তা: মিরপুরে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষের বসবাস। এই বিশাল জনসংখ্যা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ইলেকট্রনিক্স, পোশাক এবং অন্যান্য পণ্যের জন্য বড় একটি ভোক্তা বাজার তৈরি করেছে।

গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল: এই এলাকার অসংখ্য ছোট থেকে মাঝারি আকারের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও টেইলারিং শপ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য পোশাক তৈরি করে, যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লেনদেন হয়ে থাকে।

পাইকারি বাজার: মিরপুর-১ এবং মিরপুর-১০ এর মতো বড় পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পণ্য বেচাকেনা হয়। এগুলোতে পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, মুদি সামগ্রী ও গৃহস্থালি পণ্য সামগ্রীর বিপুল লেনদেন ঘটে। এছাড়া রয়েছে, যানবাহন ও লজিস্টিকস ব্যবসা

অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি: মিরপুরের অর্থনীতির একটি বড় অংশ অনানুষ্ঠানিক খাত দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমন- রাস্তার ধারের দোকান, ছোটখাটো ব্যবসা, এবং ভেন্ডরদের নগদ অর্থের লেনদেন, যার কোনো হিসাব রাখা হয় না।

রিয়েল এস্টেট: দ্রুত নগরায়নের কারণে মিরপুরে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ও নির্মাণ সামগ্রীর বেচাকেনা বেশ লাভজনক।

খাবার ও রেস্তোরাঁ: মিরপুরের রাস্তাঘাটে প্রচুর খাবারের দোকান, ফাস্ট ফুড এবং ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের রেস্তোরাঁ আছে, যা প্রতিদিন হাজার হাজার গ্রাহককে সেবা দেয়।

 

আরও পড়ুন