ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

২৯ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

অবশেষে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ১৪০ টাকা পর্যন্ত কমল  

মোহাম্মদ নাঈমুল হোসেন তালুকদার

প্রকাশ: ১৮:৫১, ৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:২৮, ৭ অক্টোবর ২০২৫

অবশেষে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ১৪০ টাকা পর্যন্ত কমল  

কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ কমেছে। কেজি প্রতি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। ছবি: মোহাম্মদ নাঈমুল হোসেন তালুকদার।

 

একটানা নয় দিনের দূর্গা পূজার ছুটি (ভারতে) এবং দেশে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কৃষিপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ৩২০ টাকায় উঠেছিল। বর্তমানে ভারতের সীমান্ত দিয়ে সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক হওয়ায় এবং বাজারে স্থানীয় কাঁচামরিচের যোগান বৃদ্ধির জন্য দাম অনেকটাই কমে এসেছে। এখন এলাকাভেদে ২০০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় প্রতি কেজি কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে।

গত সপ্তাহের শেষেও পাইকারি বাজারে প্রতি পাল্লা ( কেজি) কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত । সেটি খুচরা বাজারে কেচি প্রতি ৩২০ টাকা অব্দি উঠেছিল। বর্তমানে দাম কমে প্রতি পাল্লা কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকায়। অর্থাৎ, প্রায় ৮/১০ দিনের ব্যবধানে পাইকারি দাম প্রায় অনেকটাই কমে এসেছে। এই দাম কমার প্রধান কারণ হিসেবে বিক্রেতারা ভারত থেকে সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়াকে চিহ্নিত করছেন।

দাম কমার ফলে সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। শান্ত নামে এক ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, "এখন আগের তুলনায় কাঁচামরিচের দাম অনেক কম। আমরা এখন ৬০ টাকায় এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) মরিচ কিনতে পারছি, যেখানে গত সপ্তাহেও এর চেয়ে অনেক বেশি দামে কিনতে হয়েছে।”

কাঁচামরিচের দাম কমার পাশাপাশি অন্যান্য শাকসবজির দামও কমেছে। ঢেঁড়স, বেগুন, গাজর-সহ আরও বেশ কিছু সবজির দাম এখন ক্রেতার নাগালে এসেছে।

২২ বছর ধরে কাঁচামাল বিক্রির পেশায় নিয়োজিত মোহাম্মদ রুহুল হোসেন এই দাম ওঠানামার কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, কাঁচামালের দাম এলাকাভেদে ওঠানামা করে।

যদি কোনো বিক্রেতা কাওরান বাজারের মতো বড় পাইকারি আড়ত থেকে মাল কিনে আনেন, তবে তার কেনা দাম কম পড়ে। ফলে, তিনি ভোক্তাদের কাছেও তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করতে পারেন।

কিন্তু যদি মিরপুর এক নম্বর কাঁচা বাজার থেকে মাল কেনা হয়, তবে কাওরান বাজারের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি পড়ে। তখন ভোক্তাদের কাছেও দাম বেশি রাখতে হয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, "কাঁচামালে বিক্রেতার হাত যত বদল হয়, দাম তত বাড়ে ।“  অর্থাৎ, সরবরাহ চেইনে মধ্যস্বত্বভোগীর সংখ্যা যত বেশি হয়, ততই চূড়ান্ত খুচরা মূল্য বৃদ্ধি পায়। সরবরাহ ব্যবস্থা আরও সরল হলে ভোক্তারা আরও কম দামে সবজি কিনতে পারতেন বলে তিনি মনে করেন।

 

 

আরও পড়ুন