ঢাকা, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

মিরপুরের স্থানীয় টুর্নামেন্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

মো: নাঈম তালুকদার

প্রকাশ: ০৯:৩৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিরপুরের স্থানীয় টুর্নামেন্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

মিরপুরের একটি মাঠে খেলাধূলা চলছে। ছবি: মো: নাঈম তালুকদার।

 

সাম্প্রতিক সমযে মিরপুর এর দিয়াবাড়ি গুদারাঘাট এলাকায় কাজিফুরী মাঠে আয়োজিত এক ফুটবল টুর্নামেন্টে অত্র এলাকায়  সাড়া ফেলেছে। টুর্নামেন্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল এলাকার তরুণ দের খেলার প্রতি উৎসাহিত করা এবং সবার মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ   বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক উন্নযন ঘটানো। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে এলাকায় এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।  

প্রতিবছর মত এই বছরে এলাকাভিত্তিক গুদারাঘাট যুবসমাজ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে। এদের মূল উদ্দেশ্য তরুণ যুব সমাজকে খেলার প্রতি উৎসাহিত করা এবং মাদক থেকে দূরে রাখা।  প্রতিবছর এই যুবসমাজ সংগঠন নানা ধরনের খেলাধূলার টুর্নামেন্ট আয়োজন করে থাকে, যেমন, ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি । তবে, সাম্প্রতিক সময় ফুটবল টুর্নামেন্ট বেশি জনপ্রিয়। এখন চলছে অনূর্ধ্ব ২০ ফুটবল টুর্নামেন্ট।

এই টুর্নামেন্টের সর্বমোট ৩২ টি দল অংশগ্রহণ করছে। দলগুলোর মধ্যে রয়েছে রাইনখোলা,  বয়েজ নবাব স্কয়ার, বক্সনগর ও প্রো বয়েস প্রভৃতি।

যুব সংগঠনের এক সদস্য, আতিউরের সাথে কথা বলে জানা গেল-- এখানে অংশ নিতে প্রতি দলকে এন্ট্রি ফি দিতে হয় ৩ হাজার টাকা । প্রতি খেলার পূর্বে মাঠ ফি হিসেবে আরও ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। আর প্রতি খেলা শেষে সর্বোচ্চ গোলদাতা কে পুরস্কার দেয়া হয়।  

ফাইনাল খেলায় যাঁরা জিতবেন তাদের চল্লিশ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় স্থানে যাঁরা থাকবেন তাঁরা পাবেন বিশ হাজার টাকা।  

ফাইনাল খেলার দিনে মাঠে এসে মঞ্চে আমন্ত্রিত করা হয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এবং থানার ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। তাঁদের উপস্থিতিতে বিজয়ী দলকে ট্রফি হস্তান্তর করা হয়। যুব সংগঠনের আতিউর আরো বললেন, তাঁরা শুধু ফুটবল টুর্নামেন্ট নয়,ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন মৌসুমে তাঁরা এসব খেলারও আয়োজন করে থাকেন।

আরেক সদস্য আলামিন বললেন পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে থাকে টানটান উত্তেজনা । প্রতিটি ম্যাচে হয় চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এবং দর্শকরা দারুন উপভোগ করেন । সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচটিতে অনেক দর্শক জড়ো হন। মাঠের প্রত্যেক কোনায় দর্শক দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায় আর দর্শকের মাঝে ব্যাপক আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। 

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এলাকাবৃত্তিক টুর্নামেন্ট গুলো। 

মিরপুরের এলাকাভিত্তিক টুর্নামেন্ট গুলো সাধারণত স্থানীয় ক্লাব বা সংগঠন আয়োজন করে থাকে এই টুর্নামেন্টগুলো বিভিন্ন বয়সের খেলোয়াড়ররা অংশ নেন । এগুলো মধ্যে জনুপ্রয হলো অনূর্ধ্ব ১৫, ১৮ ও ২০। 

এই টুর্নামেন্টগুলো  প্রমাণ করে যে খেলাধুলার মাধ্যমে মিলেমিশে থাকা যায় এবং সমাজে সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত খেলাধুলা করলে স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বাড়ে। এটি  বিষন্নতা দূর করতে বেশ সাহায্য করে।  

খেলাধুলা করলে শরীর মন দুটোই ভালো থাকে । খেলাধুলার মাধ্যমে ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড শক্তিশালী হয়। এছাড়াও, এর ফলে শরীরের হাড় মজবুত হয় । মোটের ওপর খেলাধূলা আমাদের শরীরকে আরো শক্তিশালী করে তোলে।  

 

আরও পড়ুন