ঢাকা, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

মিরপুরের লাভ রোডের রেস্তোরাঁ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২:১২, ১৮ আগস্ট ২০২৫

মিরপুরের লাভ রোডের রেস্তোরাঁ

আকলিমা আক্তারের ফাস্ট ফুডের দোকান।

সন্ধ্যার পর জমে উঠে মিরপুর সেকশন-২ এর লাভ রোডের হরেক রকম রেস্তোরাঁ । বিকেল চারটা থেকে অল্প স্বল্প করে নানা বয়সের মানুষের সমাগম শুরু হয়। সন্ধ্যার পর পুরোপুরি জমে ওঠে এসব খাবারের দোকান। এখানে প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট ছোট রেস্তোরাঁ রয়েছে।

সন্ধ্যার পর বন্ধুবান্ধব পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটুখানি সময় কাটানোর জন্য এখানে আসেন মিরপুরেরই লোকজন। তাঁরা তাঁদের সময় কাটান এবং নানা স্বাদের খাবার গ্রহণ করেন।

মনোবিজ্ঞান বলে আড্ডা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। আড্ডা আমাদের নানা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মন ভালো রাখে আর সামাজিক সম্পর্কগুলো আরো মজবুত করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালো লাগার হরমোন গুলো নিঃসরণ করে যা আমাদের খুশি রাখে।

খদ্দেরদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখানে খাবারের দোকানগুলো নানা ধরণের খাবার পরিবেশন করে। আমরা বিজবাংলার পক্ষ থেকে কথা বলেছি আকলিমা আক্তারের সাথে। আগে তিনি একজন গৃহিনী ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি একটি খাবারের দোকান দিযেছেন। রেস্তোরাঁর নাম ফুডি গেস্ট হাব। তাঁর খাবারের তালিকায় রয়েছে বড় বার্গার, ছোট বার্গার, হটডগ, স্যান্ডউইচ এবং মোমো। নিজের বাসার সামনেই তাঁর দোকান দিয়ে বসেছেন। তাঁর সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি জানালেন, পরিবার তাঁর সদস্য সংখ্যা ৪ জন। তাঁদের এক মেয়ে ও এবং এক ছেলে। আকলিমা আগে  পোশাক কারখানায় কাজ করতেন কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত টাকা পাওয়া যায় না। কিন্তু কষ্ট অনেক। তাই ঐ চাকরি ছেড়ে বাসার কাছে এই দোকানটি ভাড়া নিয়েছেন। তাঁর ছেলে তাকে সাহায্য করে থাকে। ফাস্ট ফুড়ের এই দোকানে পানীয়ের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলের রস, যেমন, আম পেঁপে এবং আরো অনেক ধরনের ফলের জুস।

তিনি জানোলেন, এখানে ছুটির দিনগুলোতে খদ্দেরের ভালই আনাগোনা থাকে । সে দিনগুলোতে একটু বেশি বেচাকেনা হয় । আর অন্যান্য দিনে সকল খরচ বাদে তাঁর ১,৫০০ টাকার মতো থাকে। এই টাকা দিয়ে ভাল ভাবে সংসার চলছে তার। এখন তাঁর ছেলে স্কুলে পড়ে, ক্লাস নাইনে। আর, তার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেনী পাশ করে আর পড়াশুনা করেনি।

আরও পড়ুন