ঢাকা, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জানালেন ইসি মাসুদ

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে গণমাধ্যম নির্দেশিকা পর্যালোচনা করা হবে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০:৪৬, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে গণমাধ্যম নির্দেশিকা পর্যালোচনা করা হবে

স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনে সাংবাদিকদের গুরত্বপূর্ণ সহযোগিতার জন্য নির্দেশিকা পর্যালোচনা ও প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন এবং রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এর মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, রিপোর্ট ইউএনবি’র।

সভায় নির্বাচনের সংবাদ পরিবেশনকারী সাংবাদিকরা ‘নির্বাচন সংবাদ পরিবেশন করার জন্য নিযুক্ত সাংবাদিক/গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নির্দেশিকা ২০২৫’ সংশোধনের দাবি জানান। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্ধারিত ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইসি গত জুলাইয়ে এই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।

অনুষ্ঠানের বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাসুদ বলেন, স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সকলেই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। এর জন্য আপনার সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অন্যায়কে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে না। আমরা ভুল করতে পারি, কিন্তু আমরা কোনো অন্যায় সহ্য করব না। তাই, আমরা আপনার (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা কামনা করছি।’

আরএফইডির লিখিত দাবি সম্পর্কে বলতে গিয়ে রহমানেল মাসুদ বলেন, নির্দেশিকায় পরিবর্তনের জন্য এই দাবিগুলো পর্যালোচনা করা হবে। ‘উভয় পক্ষের জন্য, জনগণের জন্য এবং একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা যা ভালো তা করব।’

তিনি বলেন, তারা কোনো অন্যায় সহ্য করবে না, যদি ভুলও হয়। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

ইসি মাসুদ সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশন, জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে এবং গণমাধ্যম আচরণবিধির প্রস্তাবিত সংশোধনী পর্যালোচনা করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেবেন।

নির্বাচন ঘিরে আস্থার ঘাটতি স্বীকার করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আসল সমস্যা হলো কেউই আস্থার অবস্থানে নেই।

তিনি বলেন, ‘আস্থার সংকট আমাদের জাতীয় সংকট। আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি না যে সবাই খারাপ এবং আমি ভালো। আর আপনি বলতে পারেন না যে আমি খারাপ এবং আপনি ভালো। এই পরিস্থিতিতে, আমাদের নির্বাচন কমিশন প্রথমেই যা বলছে- তা হলো- আস্থা ফেরাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত- যাতে আমরা একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারি.... কারণ আমাদের সকলের মূল লক্ষ্য একই। আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তীতে এগুলো সমাধান করা যেতে পারে।’

অনুষ্ঠানে আরও দুই নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমেদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও বক্তব্য দেন।

আরএফইডির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরএফইডির সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দিন জেবেল সাংবাদিকদের কাঙ্ক্ষিত প্রস্তাবিত নির্দেশিকাগুলোর উপর একটি উপস্থাপনা করেন এবং ইসির কাছে তা হস্তান্তর করেন।

 

 

 

 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন