ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫:১৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:২৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোল চক্করে সকালে হাঁটুপানি জমে যায়।
রাজধানীতে আজ সকাল পর্যন্ত ৩৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে শহরের বেশিরভাগ রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীদের।
ভোর ৫:৪৫ থেকে ৭:০০ টা পর্যন্ত শহরে বজ্রপাতের সাথে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির ফলে শান্তিনগর, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কলাবাগান, কারওয়ান বাজার, গ্রিন রোড, মণিপুরী পাড়া, নিউ মার্কেট, আসাদ গেট, জিগাতলা এবং অন্যান্য অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
কিছু জায়গায় হাঁটুজল, আবার কিছু জায়গায় পানি কোমর ছুঁই ছুঁই করছে, রিপোর্ট বাসসের।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে আজ সকাল ৬:০০ টার মধ্যে শহরে মোট ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আজ উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ এবং একই সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। বুধবার পূর্ব বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তিন দিনের মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি অস্বাভাবিক নয় উল্লেখ করে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে যে এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বাতাসও বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য অংশে তীব্র ও ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছিল। উল্লেখ্য, শনিবার এবং রবিবার রাজধানীর আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।
তবে, আজ থেকে বৃষ্টিপাত বাড়বে এমন আভাস আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই দিয়েছিলো।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছে: দিনাজপুর ও রংপুরের অনেক স্থানে আকাশ মেঘলা রয়েছে। কিছু স্থানে বৃাষ্টপাতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ রাজধানীর বংশালের নাজিরাবাজার এলাকায় রাস্তার বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে আমিন (৩০) নামের এক বাইসাইকেল আরোহী যুবক মারা গেছেন।
আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথচারী জিসান জানান, পুরান ঢাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই নাজিরা বাজার এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। গতকাল সারারাত বৃষ্টিতে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমিন নামের ওই ব্যক্তি সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আমরা একটি বাঁশ দিয়ে তাকে টেনে দূর থেকে কাছে এনে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক জানান, ওই যুবকের বেঁচে নেই।
একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা কেয়া সরকার বলেন, ‘আমার প্রতিদিন অফিসে যেতে সময় লাগে ২০-২৫ মিনিট। সেখানে আজ এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। কাকরাইল থেকে মৌচাক অবধি বাসে যাওয়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন আমি কোনো নদীর উপর দিয়ে যাচ্ছি।’