ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯:১৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবি: ইউএনবি’র সৌজন্যে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মৌনির সাতুরি বলেছেন যে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই একটি 'নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ' পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং এর ফলাফল সবার দ্বারা সম্মানিত হওয়া উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য, রিপোর্ট ইউএনবি’র।
ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "অবশ্যই, আসন্ন নির্বাচন (আগামী ফেব্রুয়ারিতে) অনুষ্ঠিত হতে হবে, এবং এটি অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে হতে হবে। এই নির্বাচনের ফলাফল সবার দ্বারা সম্মানিত হওয়া উচিত।" তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এটি একটি আবশ্যক শর্ত।
তবে, সাতুরি, যিনি বৃহস্পতিবার রাতে তার বাংলাদেশ সফর শেষ করেছেন, বলেন যে নির্বাচন হলো প্রক্রিয়ার একটি ধাপ মাত্র, এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ যে সকল রাজনৈতিক পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছানো সংস্কারগুলো সমর্থন ও বাস্তবায়ন করবে।
প্রধান বক্তব্য
মৌনির সাতুরি তার বাংলাদেশ সফর শেষে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন:
নির্বাচনের শর্ত: তিনি বলেন, "অবশ্যই, আগামী নির্বাচন (ফেব্রুয়ারি ২০২৬) অনুষ্ঠিত হতে হবে, এবং এটি অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে হতে হবে। এই নির্বাচনের ফলাফল সবার দ্বারা সম্মানিত হওয়া উচিত।" তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এটি একটি আবশ্যক শর্ত।
সংস্কার ও ঐক্য: সাতুরি উল্লেখ করেন যে, নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি অংশ মাত্র। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে সকল রাজনৈতিক অংশীদাররা ঐক্যবদ্ধভাবে সংস্কারকে সমর্থন ও বাস্তবায়ন করবেন।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার: ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফর করেছে মূলত সুশাসন, মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মান উন্নয়নে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে। মৌনির সাতুরি মনে করেন, একটি সুস্থ গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষমতার পৃথকীকরণ, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, নাগরিক সমাজের পরিসর, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অপরিহার্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এসব বিষয় সবসময় সম্মানিত হয়নি।
এই প্রতিনিধি দলে লুক্সেমবার্গের ইসাবেল উইসেলার-লিমা, পোল্যান্ডের আরকাডিউস মুলারচিক, এস্তোনিয়ার উর্মাস পায়েত এবং নেদারল্যান্ডসের ক্যাটারিনা ভিয়েইরা-ও ছিলেন।