ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:৩৭, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
প্রতিনিধিত্বশীল ছবি। সংগৃহীত।
সিঙ্গাপুরে কর্মরত কিন্তু মালয়েশিয়ায় স্ব-নিয়োজিত উদ্যোগে (যেমন ই-হেইলিং বা ফুড ডেলিভারি পরিষেবা) নিয়োজিত মালয়েশীয়ানরা সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশন (PERKESO)-এ চাঁদা জমা দিতে পারবেন।
যারা পারবেন: সিঙ্গাপুরে কর্মরত যে সকল মালয়েশীয় নাগরিক একইসাথে মালয়েশিয়ায় স্ব-নিয়োজিত (Self-employed) কাজ করছেন, রিপোর্ট করেছে মালয়েশিয়ার দ্য ষ্টার।
সুবিধা: জোহর সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশন -এর পরিচালক টং সিং চুয়াং বলেছেন, স্ব-নিয়োজিত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প (Lindung Kendiri)-এর অধীনে চাঁদা দিলে তারা প্রয়োজনীয় সুরক্ষার আওতাভুক্ত হবেন। আবেদন করতে তাদের কোনো সমস্যা নেই।
সিঙ্গাপুরে কর্মীদের জন্য সুরক্ষার বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে কর্মরতদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
যদি কোনো বিদেশী কোম্পানি মালয়েশিয়ায় কাজ করে এবং কোম্পানিজ কমিশন অফ মালয়েশিয়া (SSM)-এর সাথে নিবন্ধিত হয়, তবেই সুরক্ষা প্রদান করা হয়।
গত বছর মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম বলেছিলেন যে তার মন্ত্রণালয় PERKESO-এর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে কর্মরত মালয়েশীয়দের জন্য, বিশেষ করে যারা প্রতিদিন যাতায়াত করেন, তাদের জন্য একটি সামাজিক সুরক্ষা বীমা প্রকল্প নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করবে।
অনুমান করা হয় যে, ১.১৮ মিলিয়নেরও বেশি মালয়েশীয় সিঙ্গাপুরে কাজ করেন, যার মধ্যে ৩০০,০০০ থেকে ৪০০,০০০ জন প্রতিদিন কজওয়ের (Causeway) ওপর দিয়ে যাতায়াত করেন।
গৃহিণীদের জন্য সুরক্ষা
পরিচালক টং গৃহিণীদেরকেও গৃহিণী সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প (Housewife Social Security Scheme)-এ চাঁদা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সুবিধা: বাড়ির কাজ করার সময় দুর্ঘটনা বা বিপদের ক্ষেত্রে এই সুরক্ষা পাওয়া যায়।
অসুস্থতা বা অক্ষমতার ক্ষেত্রেও সুরক্ষা প্রদান করা হবে।
উদাহরণস্বরূপ: রান্না করার সময় ছুরি দিয়ে হাত কেটে গেলে বা বাথরুমে পড়ে গেলে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
যোগ্যতা: যে সকল গৃহিণী ৫৫ বছর পূর্ণ করেননি, অথবা প্রথম চাঁদা দেওয়ার সময় ৫৪ বছর পূর্ণ করেননি, তারা বছরে মাত্র একবার অর্থ প্রদানের মাধ্যমে এই সুরক্ষা নিতে পারবেন।
এই সুরক্ষা প্রকল্পগুলো সম্পর্কে আপনার যদি আরও বিস্তারিত কোনো তথ্য জানার থাকে, তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।