ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০:২৫, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) নন-টেকনিক্যাল সিস্টেম লস কমানো এবং রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের ৩২ লাখ ৯৮ হাজার ১০৩টি স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস’কে পিডিবির জনসংযোগ পরিচালক শামীম হাসান জানান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পিডিবি সব গ্রাহককে স্মার্ট প্রিপেইড মিটারিং ব্যবস্থার আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, রিপোর্ট বাসসের।
তিনি বলেন, সারাদেশে পিডিবি’র প্রায় ৪২ লাখ গ্রাহক রয়েছে। যাদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩২ লাখ ৯৮ হাজারের বেশি স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
হাসান জানান, স্বয়ংক্রিয় এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদ্যুতের অপব্যবহার ও অতিরিক্ত সিস্টেম লস উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং রাজস্ব আয় বেড়েছে।
পিডিবি’র তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাটি বর্তমানে তিন ধরনের প্রিপেমেন্ট মিটারিং সিস্টেম পরিচালনা করছে: ইউনিফায়েড প্রিপেমেন্ট মিটারিং সিস্টেম, এসটিএস প্রিপেইড সিস্টেম এবং স্মার্ট মিটারিং সিস্টেম।
সংস্থাটি জানায়, স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহারে কার্যকরভাবে অবদান রাখছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রিপেমেন্ট মিটারিং সিস্টেম নন-টেকনিক্যাল সিস্টেম লস শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে।
তারা আরো জানায়, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের ফলে গ্রাহকরা একটি সহজ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থার সুবিধা পাচ্ছেন। এই মিটারিং ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা নিজেরা বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে এবং বাজেট পরিচালনা করতে পারছেন।
স্মার্ট প্রিপেইড মিটারিং সিস্টেম বিল পরিশোধ, সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা পুনঃসংযোগ সংক্রান্ত ঝামেলা দূর করে। কারণ, এতে কোনো ন্যূনতম চার্জ, জামানত বা বিতর্কিত বিল থাকে না।
এছাড়া, স্মার্ট প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীরা বিদ্যুৎ বিলের প্রচলিত হারের ওপর ২ শতাংশ ছাড় পান। এই সিস্টেম অফ-পিক আওয়ার ও ছুটির দিনে কম বা ঋণাত্মক ক্রেডিট থাকলে সতর্কবার্তা দেয়।
তথ্য অনুযায়ী, স্মার্ট প্রিপেইড মিটারিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জরুরি ক্রেডিট গ্রহণের সুযোগ দেয় এবং অস্বাভাবিক ভোল্টেজ ওঠানামা প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড সংরক্ষণ করে।
মন্ত্রণালয় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ঘটে। তবে গ্রাহকপর্যায়ে মিটার টেম্পারিং, অবৈধ সংযোগ ইত্যাদি নন-টেকনিক্যাল কারণে আরো ৫৭ শতাংশ বিদ্যুত নষ্ট হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য প্রিপেইড মিটার ডিজাইন ও উন্নয়ন করেছে।