ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬:০৪, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: বাসস।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে রোববার দেখা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া) ব্রেন্ডান লিঞ্চ এবং দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক এমিলি অ্যাশবি।
এই বৈঠকে তারা বাংলাদেশের শ্রম খাতের উন্নয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের সহজীকরণ, শ্রম অধিকার সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের ১১-দফা চুক্তির বাস্তবায়ন এবং বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. সাখাওয়াত হোসেন, যিনি একই সাথে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা, বলেন যে ২০০৬ সালের শ্রম আইন সংশোধন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (ILO) রোডম্যাপ, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং ইউরোপীয় অ্যাকশন প্ল্যানের আলোকে নেওয়া পদক্ষেপগুলো অনেক আইনি বিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ড নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ শিশুশ্রম নির্মূলে আইএলও কনভেনশন ১৩৮ এবং ১৮২-এর স্বাক্ষরকারী দেশ।
ড. সাখাওয়াত বলেন, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএলও কনভেনশন সি১৫৫, সি১৮৭ এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে সি১৯০ অনুসমর্থন করা হবে। এই তিনটি কনভেনশন অনুসমর্থিত হলে, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হবে, যে আইএলও-এর ১০টি মৌলিক কনভেনশন-এর সবকটি অনুসমর্থন করবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের এক প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য ন্যূনতম আবেদনকারীর সংখ্যা শতাংশের পরিবর্তে সংখ্যাভিত্তিক ন্যূনতম আবেদনকারীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
তাছাড়া, শ্রমিকদের ব্ল্যাকলিস্টিং নিষিদ্ধ করতে এবং ব্ল্যাকলিস্টিংয়ের জন্য শাস্তির বিধান যুক্ত করা হবে, তিনি বলেন।
শ্রম উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত হোসেন শ্রম অধিকার সুরক্ষা, শোভন কাজের পরিবেশ এবং পেশাগত স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
এ সময় তিনি মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রেতা ব্র্যান্ডগুলোকে বাংলাদেশের পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানান।
ব্রেন্ডান লিঞ্চ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শ্রম খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শ্রম আইন সংশোধনের ওপর জোর দেন।
উভয় পক্ষই শ্রম খাতে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে।
বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডল, মো. হুমায়ুন কবির এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জেকবসন এবং লেবার অ্যাটাশে লিনা খান উপস্থিত ছিলেন।