ঢাকা, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার

বাংলাদেশে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে সহায়তা করছে ইইউ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১১:৩৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে সহায়তা করছে ইইউ

ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ছবি: ফাইল, সংগৃহীত।

 

আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সহায়তা করছে এবং নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংস্কার কার্যক্রমকে সমর্থন দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইইউয়ের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

(১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাবেক রাষ্ট্রদূতদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার অ্যাম্বাসাডরস (এওএফএ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইইউয়ের সম্পর্কের মূলভিত্তি হলো মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি।

তিনি বলেন, আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য হলো সমৃদ্ধি গড়ে তোলা, একসঙ্গে কাজ করে টেকসই প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়া, বিনিয়োগ সক্রিয় করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা।

দেশের বিভিন্ন স্থানে তার সফরের প্রসঙ্গ টেনে মিলার জানান, তিনি ঢাকার বাইরে মানুষের প্রয়োজন বোঝার চেষ্টা করছেন এবং ইইউ-অর্থায়িত প্রকল্প থেকে উপকৃত জনগণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ারও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

স্থানীয় পর্যায় থেকে পরিস্থিতি বোঝা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ তার রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত অতিক্রম করছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় রূপান্তরে কীভাবে সহায়তা করা যায় এবং নতুন চ্যালেঞ্জ কিংবা সহায়তার অনুরোধের দ্রুত জবাব দেওয়া যায়­— তা নিয়ে ভাবছে ইইউ।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন দেশটিতে মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা, গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠা করা এবং নাগরিক সমাজের জন্য পরিসর তৈরির একটি অনন্য সুযোগ এনে দিয়েছে বলেও জোর দেন মিলার।

সংস্কার আলোচনায় ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার দৃঢ় মিল রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, শান্তি, অংশীদারত্ব ও সহযোগিতায় আমরা অটল থাকব, আপনারা আমাদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনতেও তারা সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দেন।

বাণিজ্য প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। ইইউ একটি দৃঢ় অংশীদার। পরিবহন, জ্বালানি, পানি, ডিজিটাল ও টেলিকম খাতে নিরাপদ ও টেকসই সংযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশকে রূপান্তরিত করবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি) বাংলাদেশে তাদের ঋণ দ্বিগুণ করবে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই তা করা হবে। পাশাপাশি, ইউরোপের ভেতর থেকে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ নিশ্চিতে ইইউ তাদের বাজেট ব্যবহার করছে।

রাষ্ট্রদূত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ বিশেষত জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার ইইউয়ের অব্যাহত দায়িত্বের কথাও এ সময় উল্লেখ করেন।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন