ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪:০৯, ২১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:১২, ২১ অক্টোবর ২০২৫
সানায়ে তাকাইচি ঐতিহাসিক ভোটে জয়ী হয়ে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত।
সানায়ে তাকাইচি একটি ঐতিহাসিক ভোটে জয়ী হয়ে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
৬৪ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ জাপানের "আয়রন লেডি" (Iron Lady) নামে পরিচিত; তিনি যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের একজন ভক্ত।
জাপানের নেতা হওয়ার জন্য এটি ছিল তার তৃতীয় প্রচেষ্টা। কেলেঙ্কারি জর্জরিত তার দল এলডিপি (LDP) থেকে গত পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী, রিপোর্ট বিবিসি লাইভের।
তিনি এলডিপি'র কঠোরপন্থী (hardline wing) অংশের সদস্য এবং প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শিষ্য (protégé) ছিলেন।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে "অত্যন্ত সম্মানিত এবং দারুণ প্রজ্ঞার অধিকারী একজন ব্যক্তি" হিসাবে প্রশংসা করেছিলেন।
এখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তাকাইচির সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হলো: মন্থর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা, মার্কিন-জাপান সম্পর্কের অস্থিরতা সামলানো এবং বিভক্ত ক্ষমতাসীন দলকে ঐক্যবদ্ধ করা।
সানায়ে তাকাইচি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ এবং তার রক্ষণশীল রাজনীতি নিয়ে অনেক বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে তার সম্পর্কে এমন কিছু ব্যতিক্রমী তথ্য এখানে দেওয়া হলো যা হয়তো আপনার জানা ছিল না:
একসময় তিনি হেভি মেটাল ড্রামার ছিলেন। প্রচণ্ড ড্রামিং করার সময় তিনি প্রায়শই ড্রামের কাঠি ভেঙে ফেলতেন বলে তিনি এক সাথে অনেকগুলো কাঠি নিয়ে সাথে রেখে শো করতেন।
তিনি স্কুবা ডাইভারও ছিলেন।
তিনি গাড়ির ভক্ত। তার প্রিয় টয়োটা সুপ্রা (Toyota Supra) গাড়িটি এখন নারার একটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে।
রাজনীতিতে আসার আগে তাকাইচি কিছু সময়ের জন্য টেলিভিশন হোস্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন।
তাকে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ চালানোর জন্য কাজ করতে হয়েছিল, কারণ তার বাবা-মা মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে রাজি ছিলেন না।