ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩:৩৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ (বামে) এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: ডিডাব্লিউ।
বুধবার সৌদি আরব ও পাকিস্তান একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে দেশ দুটি তাদের কয়েক দশকের পুরোনো নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব আরও গভীর করল।
চুক্তিটি ঘোষণা করার সময় উভয় দেশই জানিয়েছে যে, এক দেশের ওপর কোনো আক্রমণকে তারা "উভয় দেশের ওপর আগ্রাসন" হিসেবে বিবেচনা করবে, রিপোর্ট ডিডাব্লিউ-এর।
ইসরায়েলের কাতার আক্রমণের পর এই উন্নত প্রতিরক্ষা চুক্তিটি হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় আরব দেশগুলো তাদের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে ক্রমশ সতর্ক হচ্ছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সিতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "এই চুক্তির লক্ষ্য হলো... দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করা।"
"চুক্তিটিতে বলা হয়েছে যে, এক দেশের ওপর যেকোনো আগ্রাসনকে উভয় দেশের ওপর আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা হবে।"
এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ পরস্পরকে আলিঙ্গন করেন।
এই চুক্তির আগে মে মাসে পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চার দিনব্যাপী একটি উত্তেজনাপূর্ণ সংঘাত হয়েছিল, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং আর্টিলারি হামলায় ৭০ জন সামরিক কর্মী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।
এই সামরিক উত্তেজনা ১৯৯৯ সালের পর দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ের সূত্রপাত করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই উত্তেজনা কমাতে সৌদি আরব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
সৌদি আরব ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি সৌদি আরবের পেট্রোলিয়াম আমদানির ওপর নির্ভরশীল।
অন্যদিকে, পাকিস্তানও সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বর্তমানে সৌদি আরবে ২৫ লাখের বেশি পাকিস্তানি নাগরিক বসবাস এবং কাজ করছেন বলে ধারণা করা হয়।