ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪:৩৮, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাবনার রূপপুর গ্রীন সিটি প্রকল্প। ছবি: ইউএনবি
পাবনার রূপপুর গ্রীন সিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে ওঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এজন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেনকে নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মো. শাহীন উদ্দিন ও মো. আলমগীর হোসেন রাজশাহী গণপূর্ত জোনে কর্মরত থাকা অবস্থায় রূপপুর গ্রীন সিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে ওঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি ওই সময়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়, রিপোর্ট ইউএনবি’র।
এ বিষয়ে ২০১৯ সালের ১৯ মে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটির দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে ওঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ উপবিধি (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. শাহীন উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ মোতাবেক সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৪ এর উপবিধি ৩ এর (খ) অনুযায়ী বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়েছে।
আরেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. আলমগীর হোসেন তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুতের সাথে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ এর উপবিধি (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ মোতাবেক দোষী সাব্যস্ত করে একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপবিধি ৩ (ক) অনুযায়ী নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত করা হয়েছে।
এই দুজনের বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার বিষয়ে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক এবং রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সই করা পৃথক আদেশের মাধ্যমে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।