ঢাকা, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ১৭৯; স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০:৩৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ১৭৯; স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার জানিয়েছে, এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ছবি: জিনহুযার সৌজন্যে।

 

বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (DGHS) সোমবার জানিয়েছে, এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর ঢাকায় এক ব্রিফিংয়ে বলেন, "পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। বেশিরভাগ রোগী হাসপাতালে ভর্তির দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন," রিপোর্ট ইউএনবি’র।

তিনি জানান, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী রোগীদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এদের অনেকেই জ্বর শুরু হওয়ার ছয় থেকে সাত দিন পর চিকিৎসার জন্য আসেন, যা জটিলতা প্রতিরোধে প্রায়শই অনেক দেরি হয়ে যায়। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, "শিশুদের মধ্যেও মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়েছে।"

আবু জাফর বলেন, যদিও এ বছর ডেঙ্গু সংক্রমণের সংখ্যা গত বছরের মোট সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে, তবুও সামগ্রিক মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম। তবে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক রোগী গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আসায় মৃত্যুহার বাড়ছে।

আবু জাফর বলেন, "কারো জ্বর হলে, দেরি না করে দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত। দেরিতে রোগ নির্ণয় জটিলতা বাড়ায় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। সময়মতো চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"

তিনি সতর্ক করে বলেন, শুধুমাত্র সরকারি পদক্ষেপ দিয়ে এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, যদি না জনসচেতনতা এবং সতর্কতা বৃদ্ধি পায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মইনুল হাসান জানান, প্রতিটি ডেঙ্গু রোগীকে একজন নির্দিষ্ট ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে রাখার জন্য একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান যে, সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে তাদের প্রস্তুতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন