ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:৩৫, ১১ আগস্ট ২০২৫
আসিয়ান দেশ ও আইএইএ’র সভা শুরু মালয়েশিয়ায়।য়।
মালয়েশিয়া পারমাণবিক-অস্ত্রধারী দেশগুলোর প্রতি দ্রুত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে পারমাণবিক-অস্ত্র মুক্ত অঞ্চল (SEANWFZ) চুক্তির প্রোটোকলে স্বাক্ষর ও অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কুয়ালালামপুরের মতে, এটি আঞ্চলিক শান্তি, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
উপপ্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ফাদিল্লাহ ইউসুফ বলেছেন যে, একটি শক্তিশালী ও কার্যকর পারমাণবিক-অস্ত্র মুক্ত অঞ্চল থাকা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অঞ্চলের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, খবর বার্নামা বার্তা সংস্থার।
আজ সোমবার (১১ আগস্ট) সিঙ্গাপুর সীমান্তের জোহর বাহরু শহরে ’দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে পারমাণবিক-অস্ত্র মুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করুন’উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া SEANWFZ চুক্তির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে। আমরা পারমাণবিক-অস্ত্রধারী দেশগুলোকে দ্রুত প্রোটোকলে স্বাক্ষর ও অনুমোদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”
পারমাণবিক শক্তি প্রসঙ্গে, জ্বালানি রূপান্তর ও জলসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ফাদিল্লাহ বলেন যে, মালয়েশিয়ার ভবিষ্যৎ জ্বালানি মিশ্রণে পরিষ্কার, স্থিতিশীল ও প্রতিযোগিতামূলক বিদ্যুতের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে পারমাণবিক শক্তির ভূমিকা খতিয়ে দেখতে সরকার একটি সুসংগঠিত মূল্যায়ন পরিচালনা করছে।
১৩তম মালয়েশিয়া পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই মূল্যায়নের লক্ষ্য হলো জ্বালানির উৎস বহুমুখী করা, দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করা, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করা।
MyPOWER কর্পোরেশনের অধীনে থাকা পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি বাস্তবায়ন সংস্থা (NEPIO) আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব পেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফাদিল্লাহ আরও ঘোষণা করেন যে, ১২তম মালয়েশিয়া পরিকল্পনার অধীনে মালয়েশিয়ার অ্যাটমিক এনার্জি বিভাগ গামা স্পেকট্রোমেট্রি ওয়াটার মনিটরিং সিস্টেম (GSWMS) চালু করবে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যা জল উৎসগুলোতে যে কোনো তেজস্ক্রিয় হুমকি দ্রুত শনাক্ত ও সেটির মোকাবেলার জন্য দেশের সক্ষমতা বাড়াতে ডিজাইন করা হয়েছে।
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন যে, পারমাণবিক শক্তি ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারকে অবশ্যই শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক কাঠামো, কঠোর নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং স্বচ্ছ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমর্থন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “ASEANTOM এর অধীনে আমাদের সহযোগিতা কেবল প্রযুক্তিগত নয়, এটি গভীরভাবে কৌশলগতও। এটি টেকসই উন্নয়নে পারমাণবিক শক্তিকে কাজে লাগানো, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদার করা এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মঙ্গল নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বের প্রতিফলন।”
দুই দিনব্যাপী এই সভায় ASEAN সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা, IAEA এবং বিভিন্ন সহযোগী দেশের প্রতিনিধিরা আঞ্চলিক পারমাণবিক নিরাপত্তা, সুরক্ষার উপায় এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।