শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:৩৭, ৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩১, ৭ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক খাতে জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নির্দেশিকা জারি করেছে। ছবি: বাসস।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে আর্থিক খাতে উচ্চমাত্রার ঝুঁকি মোকাবিলায় ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা’ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল বৃহস্পতিতবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে, রিপোর্ট বাসসের।
নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে অন্যতম জলবায়ুু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে স্বীকৃত। দেশের আর্থিক খাত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জলবায়ুুসম্পর্কিত ঝুঁকি ও সম্ভাবনার পদ্ধতিগত শনাক্তকরণ, মূল্যায়ন, ব্যবস্থাপনা এবং প্রকাশ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নতুন এই বিধান প্রণীত হয়েছে।
নির্দেশিকায় জলবায়ু হুমকির দুটি প্রধান ক্যাটাগরি চিহ্নিত করা হয়েছে- ভৌত ঝুঁকি এবং রূপান্তরজনিত ঝুঁকি।
ভৌত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আকস্মিক দুর্যোগ, যেমন- বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, যেমন- তাপদাহ। আর রূপান্তরজনিত ঝুঁকি আসে নিম্ন-কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন থেকে, যার মধ্যে রয়েছে নীতিগত সংস্কার, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং কার্বন মূল্য বাস্তবায়ন।
এই জলবায়ু ঝুঁকিগুলো গুরুতর, যা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে, সম্পদের গুণগত মান ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, জামানতের মূল্য হ্রাস এবং ঋণ, বাজার, তারল্য ও পরিচালন ঝুঁকিসহ প্রচলিত মূল ঝুঁকিগুলোকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এসব চ্যালেঞ্জ গুরুতর হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, জলবায়ু পরিবর্তন একইসঙ্গে উল্লেখযোগ্য অর্থায়নের সুযোগও সৃষ্টি করে। এই সুযোগগুলো জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজন-কেন্দ্রিক উদ্যোগে কৌশলগতভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে কাজে লাগানো যেতে পারে, যা ভৌত ও রূপান্তরজনিত ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হবে।
নতুন এই নির্দেশিকাটি আর্থিক খাতে জলবায়ু-সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশের কার্যকর ও নির্বিঘ্ন বাস্তবায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এই নির্দেশিকায় আন্তর্জাতিক মান ও সেরা চর্চাগুলো এবং ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের টেকসই ও জলবায়ুুসম্পর্কিত আর্থিক নির্দেশিকা’ সমন্বয় করে একত্রে জারি করা হয়েছে, যা বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত আইএসএসবি মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সার্কুলারে বর্ণিত প্রতিবেদন দাখিলের নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে। সংযুক্ত টেমপ্লেট ব্যবহার করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে, যা সার্কুলারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইন্যাবল ফাইন্যান্স বিভাগে অর্ধবার্ষিক ভিত্তিতে জমা দিতে হবে।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা হলো পরবর্তী মাসের শেষ কর্মদিবস।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত)ুএর ৪৫ ধারার এবং ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ৪১(২) ধারার ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়ন ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে আহ্বান বিএনপির
জুলাই জাতীয় সনদের যে সকল বিষয় ঐকমত্য হয়েছে তার আইনানুগ বাস্তবায়ন এবং যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জমা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার রাতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনায় প্রস্তাব গৃহীত হয়।
গৃহীত প্রস্তাব বিষয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ ও বিস্তারিত আলোচনা শেষে কতিপয় বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ যে সকল বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হয়েছে, আমরা তার অংশীদার হিসাবে সনদে বর্ণিত সকল বিষয়কে ধারণ করি এবং দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
'সর্বসম্মতভাবে গৃহীত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে নতুন প্রশ্ন কিম্বা সংকট সৃষ্টির সকল অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী জনগণের শক্তিকে ধারণ করে বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ ১৬ বছরের অবিরাম লড়াই ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সীমাহীন ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে’ বলে সভায় গৃহীত হয়েছে।
বিএনপি দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, দীর্ঘ আলোচনায় উপনীত ঐকমত্য কে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং কোন মতেই নিত্য নতুন প্রশ্ন উত্থাপন কিম্বা সংকট সৃষ্ট করে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিতব্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করবে না।
বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জুলাই জাতীয় সনদের যে সকল বিষয় ঐকমত্য হয়েছে তার আইনানুগ বাস্তবায়নের জন্য এবং যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আন্তরিক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।