ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

৬ কার্তিক ১৪৩২, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

ইস্তাম্বুলে বিনিয়োগ সেমিনারে তুর্কি ব্যবসায়ী ও বিডার বৈঠক

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২:৪৫, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ইস্তাম্বুলে বিনিয়োগ সেমিনারে তুর্কি ব্যবসায়ী ও বিডার বৈঠক

ছবি: ডেইলী সাবাহ’র সৌজন্যে।

 

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ইস্তাম্বুলে “সমৃদ্ধির প্রবেশদ্বার: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন” শীর্ষক একটি বিনিয়োগ সেমিনার আয়োজন করেছে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ অন্বেষণ করতে তুর্কি ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী এবং উন্নয়ন অংশীদারদের একত্রিত করাই ছিল এই সেমিনারের উদ্দেশ্য।

ইস্তাম্বুলের লেভেন্ট জেলার ম্যারিয়টের ডেল্টা হোটেলসে আয়োজিত এই উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠানে ৩০টিরও বেশি তুর্কি কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, যাঁরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন বা বাজারে প্রবেশ করতে আগ্রহী, রিপোর্ট করেছে তুরস্কের ডেইলী সাবাহ।

তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস অ্যান্ড বিজনেসম্যানস অ্যাসোসিয়েশন (MÜSİAD)-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই সেমিনারটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক অর্থ কর্পোরেশন (IFC) থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে।

বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, যেখানে তিনি বস্ত্র, ইলেকট্রনিক্স এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সুযোগগুলো তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে প্রবেশ করার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর কখনও আসেনি। রফতানি এবং মুদ্রার স্থিতিশীলতা থেকে শুরু করে মুদ্রাস্ফীতি পর্যন্ত সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অনুকূল স্তরে রয়েছে। সরকার ব্যবসা প্রবেশ সহজ করার জন্য ৩২টি সুনির্দিষ্ট সংস্কারমূলক উদ্যোগ চালু করেছে। আর যারা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন, তাদের জন্য বিডা আমাদের ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিনিয়োগ পরামর্শ থেকে শুরু করে কারখানা স্থাপন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সহায়তা প্রদান করছে।”

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, তুর্কি ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে সরাসরি আলোচনা করেন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে সক্রিয় তুর্কি কোম্পানিগুলোর নির্বাহীরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। আর্চেলিক-এর (সিঙ্গার বাংলাদেশের মালিক) সিএফও বারিশ আলপারসলান একটি স্থিতিস্থাপক স্থানীয় সরবরাহ চেইন তৈরি করতে এবং মানুষ, দক্ষতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধিতে বিনিয়োগের জন্য তাদের কোম্পানির প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন।

আইগাজ-এর বিক্রয় বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এরজুমান্ত পোলাত, বাংলাদেশে তাদের প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণের বর্ণনা দেন। তিনি বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহায়তার, ২০০ জনেরও বেশি স্থানীয় কর্মী নিয়ে ক্রমবর্ধমান কর্মীবাহিনীর এবং প্রায় ৩০ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছানো বিতরণ নেটওয়ার্কের কথা উল্লেখ করেন।

সেমিনারে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস অ্যান্ড বিজনেসম্যানস অ্যাসোসিয়েশন-এর বোর্ড সদস্য মুহাম্মেত হুজেইফে গুল্লুওলু এবং ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ মিজানুর রহমানও বক্তব্য রাখেন। তারা উভয়েই তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

এই অনুষ্ঠানটি বিডার সিনিয়র কর্মকর্তা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং ব্যাংকিং খাতের প্রতিনিধিদের সাথে চৌধুরী পরিচালিত একটি বিস্তৃত একটি মিশনের অংশ ছিল।

৭-৮ অক্টোবর, দু’দিন, মূল খাতগুলোতে তুর্কি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সরকার-টু-বিজনেস (G2B) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বেসরকারি খাতের সহযোগিতা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বিডা TÜRKONFED সহ অন্যান্য প্রধান তুর্কি শিল্প সংস্থাগুলোর সাথেও দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা জোরদার করছে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন