ঢাকা, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

৭ কার্তিক ১৪৩২, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

মানবতা রিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা আইসিটি-তে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯:৩২, ২২ অক্টোবর ২০২৫

মানবতা রিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা আইসিটি-তে

ছবি: বাসসের।

 

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত জোরপূর্বক গুম, হত্যা এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তিনটি পৃথক মামলায় বর্তমানে হেফাজতে থাকা ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) হাজির করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার-এর নেতৃত্বে গঠিত এই ট্রাইব্যুনাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগের শুনানি করবে, রিপোর্ট ইউএনবি’র।

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সোয়া ৭টার দিকে কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

প্রসিকিউশনের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় ১৭ জন, অন্যটিতে ১৩ জন এবং তৃতীয়টিতে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

হাসিনাকে দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে হেফাজতে আছেন।

মঙ্গলবার ভোর থেকেই রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টন এবং হাইকোর্টের মাজারগেট এলাকায় পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং সেনা সদস্যরা মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান যে আটক সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, যদি কেউ হাজির হতে ব্যর্থ হন, তবে দুটি জাতীয় দৈনিকে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। ট্রাইব্যুনাল যদি তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন, তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা কারা অধিদপ্তর তাদের কোথায় রাখা হবে তা নির্ধারণ করবে।

অভিযোগের বিবরণ
প্রথম মামলাটির অভিযোগ হলো, আওয়ামী লীগের শাসনামলে র‍্যাব পরিচালিত টাস্ক ফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলের ভেতরে বিরোধী দলের ব্যক্তিদের অপহরণ, গোপন আটক ও নির্যাতন করা হয়েছিল।

এই মামলায় হাসিনা এবং আরও ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে formal charges (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) ৮ অক্টোবর জমা দেওয়া হয়েছিল।

দ্বিতীয় মামলাটি হাসিনা এবং আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে, যেখানে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি), যা "আয়নাঘর" নামেও পরিচিত, সেখানে জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তৃতীয় মামলায় বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেডওয়ানুল ইসলামসহ চারজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রামপুরায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ২৮ জনকে হত্যার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের সামনে অভিযোগগুলো উপস্থাপন করেন এবং সেগুলো বিচারের জন্য গ্রহণের অনুরোধ জানান।

প্রাথমিক শুনানির পর, ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং আজকের (২২ অক্টোবর) মধ্যে তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন