ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩:০৫, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রতীকি ছবি। সংগৃহীত।
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার ১২.৫৩ কোটি বিনামূল্যের পাঠ্যবই মুদ্রণ, বাঁধাই ও বিতরণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি (এসিজিসিপি) বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত তিনটি প্রধান ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত কমিটির এই ভার্চুয়াল সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন, রিপোর্ট ইউএনবি’র।
দাপ্তরিক সূত্র অনুযায়ী, প্রস্তাবগুলো মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ও ইংরেজি উভয় সংস্করণের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের বিষয় কভার করে।
ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের জন্য মোট আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১৩৭.৮৭ কোটি টাকা, যার অধীনে মোট ৪.৩৬ কোটি কপি মুদ্রণ করা হবে। দাখিলকৃত ৯৮টি দরপত্রের মধ্যে থেকে ৭৭টি প্রতিষ্ঠানকে এই কাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
একইভাবে, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের জন্য সরকার ১৫০.০১ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা করেছে, যার মাধ্যমে ৪.১৫ কোটি কপি মুদ্রণ করা হবে। ১০০টি দরদাতার মধ্য থেকে ৯১টি প্রতিষ্ঠানকে এই কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের চুক্তির মূল্য ১৫৬.৯২ কোটি টাকা হবে, যেখানে ৪.০২ কোটি কপি মুদ্রণ করা হবে। প্রতিযোগিতামূলক দর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কাজের জন্য ৯০টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এই তিনটি প্রস্তাবই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ দ্বারা উত্থাপিত হয়েছে, যারা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নও করবে।
পর্যালোচনা করার পর, কমিটি প্রতিটি শ্রেণির জন্য খরচের কাঠামো, দরপত্র প্রক্রিয়া এবং কাজের পরিমাণ যাচাই করে প্রস্তাবগুলো অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে।
প্রতি বছর, সরকার শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে এবং ঝরে পড়া রোধ করতে দেশজুড়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য কোটি কোটি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণ করে থাকে। প্রতিটি শিক্ষাবর্ষের আগে সময়মতো এই বইগুলোর মুদ্রণ ও বিতরণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে থাকে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই সুপারিশগুলো দ্রুতই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা মুদ্রণ কাজ শুরু করার পথ প্রশস্ত করবে যাতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই সকল শিক্ষার্থী তাদের নতুন পাঠ্যপুস্তক পেতে পারে।