শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯:৩২, ৬ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত।
বৈশ্বিক সরবরাহের আধিক্য নিয়ে উদ্বেগ কমার পর বৃহস্পতিবার তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। সম্প্রতি দুর্বল চাহিদার কারণে বাজারে যে চাপ ছিল, তা কিছুটা কমেছে। ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্স প্রতি ব্যারেল ৬৩.৬৯ ডলারে ১৭ সেন্ট বা ০.২৭% বেড়েছে, আর ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ফিউচার্স ৫৯.৭৮ ডলারে ১৮ সেন্ট বা ০.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগের সেশনে তেলের দাম দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এই সামান্য প্রত্যাবর্তন দেখা গেল। বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, ২০২৬ সালের প্রথম দিকে উৎপাদন বৃদ্ধি স্থগিত করার জন্য OPEC+-এর পরিকল্পনা সরবরাহের আধিক্য নিয়ে ভয় কমাতে সাহায্য করেছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ান তেল সংস্থাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা যোগ করেছে, রিপোর্ট পাকিস্তানের ডেইলী টাইমস-এর।
তবে, দুর্বল চাহিদা এখনও ভবিষ্যতের দৃশ্যপটকে মেঘাচ্ছন্ন করে রেখেছে। জে.পি. মরগানের মতে, এ বছর বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা বৃদ্ধি দৈনিক মাত্র ৮৫০,০০০ ব্যারেলে পৌঁছেছে — যা পূর্বাভাসের চেয়ে কিছুটা কম। ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত সপ্তাহে তেলের মজুত ৫.২ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধির খবর দিয়েছে, যা ধীরগতির ভোগ নির্দেশ করে।
এদিকে, সৌদি আরব পর্যাপ্ত সরবরাহের বাজারে এশীয় ক্রেতাদের জন্য ডিসেম্বরের তেলের দাম কমিয়েছে, যা উৎপাদকদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জকে আরও তুলে ধরেছে। ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, চাহিদা দুর্বল থাকলে ২০২৫ সালের শেষে তেলের দাম গড়ে ৬০ ডলার প্রতি ব্যারেল হতে পারে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে তা ৫০ ডলারে নেমে আসতে পারে।