ইত্তেফাকের সৌজন্যে
প্রকাশ: ০৮:২৪, ২ অক্টোবর ২০২৫
প্রতীকি ছবি। সংগৃহীত।
দেশে রপ্তানিকারকদের চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা কমেছে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে রপ্তানিকারকরা মোট ১৭১ কোটি ডলারের ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১৯৩ কোটি ডলার। দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় ২২ কোটি ডলার কমে গেছে। তবে এ খাতে আগে খোলা এলসির নিষ্পত্তি বেড়েছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বৈদেশিক বাজারে চাহিদার উঠানামার কারণে এ ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তবে সার্বিকভাবে দেশের আমদানি বাণিজ্যে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মোট এলসি খোলা হয়েছে ১ হাজার ১৪৮ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে এলসির অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৬০ কোটি ডলার। আর সার্বিকভাবে এলসি খোলা বেড়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ সময় এলসি নিষ্পত্তি বেড়েছে ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে এক ধরনের রূপান্তর বা 'ট্রানজেকশন পিরিয়ড' চলছে। গত সরকারের আমলে যেসব আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক সক্রিয় ছিলেন, তাদের অনেকেই এখন ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন বা পালিয়ে গেছেন। ফলে বাজারে নতুন উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। তারা ব্যবসা সচল রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিবর্তনের প্রভাব আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে উঠানামা হিসেবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা ব্যবসার পরিবেশকে প্রভাবিত করছে। অনেক বিনিয়োগকারী অপেক্ষা করছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য। আর্থিক লেনদেন ও ব্যবসার সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থিতিশীল পরিবেশ অপরিহার্য।