ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

৬ কার্তিক ১৪৩২, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশে ৪৯ মণ্ডপে নাশকতার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১৯: র‌্যাব ডিজি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৮:৩৭, ২ অক্টোবর ২০২৫

সারাদেশে ৪৯ মণ্ডপে নাশকতার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১৯: র‌্যাব ডিজি

বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে কথা বলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহীদুর রহমান।

 

সারাদেশের ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপের অন্তত ৪৯টিতে কিছু নাশকতাকারী বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু এসব নাশকতার চেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহীদুর রহমান।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন, রিপোর্ট বাসসের।

র‌্যাব ডিজি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং এই পর্যন্ত ১৯ জনেরও বেশি নাশকতাকরীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এই দেশ সব ধর্মের, সব গোত্রের।

একেএম শহিদুর রহমান বলেন, সবচেয়ে ভালো হতো ধর্মীয় উৎসবগুলো যদি আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারা ছাড়া করতে পারতাম। সেটিই হতো আমাদের পূর্ণাঙ্গ আনন্দ। আশা করি সেই দিন আসবে। ধর্মীয় উৎসবগুলো কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা ছাড়াই আমরা উদ্‌যাপন করতে পারবো।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, সবার সমান অধিকার নিয়ে যার যার ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করবো। একে অপরকে সহযোগিতা করবো। বাঁধা দেয়াটা অনুচিত। যারা বাঁধা দেয়, তারা আইন ভঙ্গ করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন, র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ন্যায্য দাবিসমূহ পর্যায়ক্রমে পূরণ করা সম্ভব : তথ্য উপদেষ্টা

এদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ন্যায্য দাবিসমূহ পর্যায়ক্রমে পূরণ করা সম্ভব। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে কাজ করছে। পরবর্তী সময়ে যে সরকার আসবে তারাও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ন্যায্য দাবি পূরণে সচেষ্ট থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গোৎসবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্য আমাদের ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশের ইতিহাস হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের মাধ্যমে লড়াইয়ের ইতিহাস। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি ও বহু ঐতিহ্যের বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মাহফুজ আলম বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের দুর্গাপূজা বর্ণিল ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপিত হচ্ছে। দুর্গাপূজাকে উৎসবমুখর করতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদ্যাপনে সহায়তা করার জন্য তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের নৃশংস ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সময় সরকারপ্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যারা নিহত হয়েছেন, উপদেষ্টা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

জগন্নাথ হলের শারদীয় দুর্গোৎসবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকীসহ দুর্গোৎসব উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন