ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৫৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবি: পাকিস্তানের ডন পত্রিকার সৌজন্যে।
আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের এক লো-স্কোরিং ম্যাচে মঙ্গলবার পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে। ১৩৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান তুলেছিল, কিন্তু পরের ৭ ওভারে তারা ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়, খবর ভারতের ডেকান ক্রনিকলের।
এরপর হুসেইন তালাত (৩২*) এবং মোহাম্মদ নওয়াজ (৩৮*) পাকিস্তানকে জয় এনে দেন। পাকিস্তানের জয়ের জন্য তখনও দুই ওভার বাকি ছিল।
এর আগে, কামিন্দু মেন্ডিস ৪৪ বলে ৫০ রান করলেও পাকিস্তান ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল এবং শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখে। শাহীন শাহ আফ্রিদি ২৮ রানে ৩টি উইকেট নেন, অন্যদিকে পেসার তালাত পরপর দুই বলে দুটি উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে এক পর্যায়ে ৮০ রানে ৬ উইকেটে পরিণত করেন। সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৩৩/৮ (২০ ওভার) (কামিন্দু মেন্ডিস ৫০; শাহীন আফ্রিদি ৩/২৮, হুসেইন তালাত ২/১৮) পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে পরাজিত হয়। পাকিস্তান ১৩৮/৫ (১৮ ওভার) (হুসেইন তালাত ৩২*, মোহাম্মদ নওয়াজ ৩৮*; মহেশ থিকসানা ২/২৪)।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকা লিখেছে: হঠাৎ করেই পাকিস্তানের এশিয়া কাপ অভিযান আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। টুর্নামেন্টে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে দ্বিতীয়বারের মতো শোচনীয় পরাজয়ের দুই দিন পর, জাতীয় দলটি মঙ্গলবার আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের কষ্টার্জিত জয় নিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এটি একটি লো-স্কোরিং ম্যাচ ছিল এবং পাকিস্তান, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে, নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। তবে ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দলের জন্য এই জয়টি আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য খুবই দরকারি ছিল।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই ম্যাচে যারা ভালো পারফর্ম করেছেন, তারা সবাই আগের ম্যাচে সমালোচিত হয়েছিলেন। ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোর ম্যাচে যার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেই হুসেইন তালাত বল হাতে প্রভাবিত করার পর ব্যাটিংয়েও দলের হাল ধরেন। মোহাম্মদ নওয়াজ আগের ম্যাচের বাজে পারফরম্যান্স থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের জন্য ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেন। অন্যদিকে, রোববার ভারতের ওপেনারদের হাতে নাস্তানাবুদ হওয়া আবরার আহমেদ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেখিয়ে দিয়েছেন যে তাকে বেশিক্ষণ চুপ করে রাখা যায় না। আর, শাহীন শাহ আফ্রিদি নতুন বলে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।