ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

১৪ কার্তিক ১৪৩২, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

কক্সবাজার বিমানবন্দর: কবে থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, কোন বিমান চলবে

বিবিসি বাংলার সৌজন্যে

প্রকাশ: ১৮:৫৫, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজার বিমানবন্দর: কবে থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, কোন বিমান চলবে

প্রতিনিধিত্বশীল ছবি। সংগৃহীত।

সমুদ্র থেকে শুরু হওয়া রানওয়ের জন্য আলোচিত কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বাংলাদেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। তবে কবে ও কোন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে সেখান থেকে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হবে তা নিয়ে এখনো রয়েছে অনিশ্চয়তা।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কক্সবাজার-ঢাকা-কলকাতা রুটে বিমান চলাচল শুরুর একটি আলোচনা থাকলেও তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বিমান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক কোনও এয়ারলাইন্স থেকে এখনো এই বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য কোনও চাহিদাপত্র যেমন আসেনি, তেমনি অভ্যন্তরীণ রুট হিসেবে এখন যেসব এয়ারলাইন্স কক্সবাজারে বিমান পরিচালনা করে তাদের দিকে থেকেও খুব একটা সাড়া কর্তৃপক্ষ পায়নি।

বরং এই বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে আসা-যাওয়ার যাত্রী কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়ে উদ্বেগ আছে এয়ারলাইন্সগুলোর অনেকের মধ্যেই। যদিও রোহিঙ্গা শিবিরকে কেন্দ্র করে অনেক সংস্থার কাজে বিদেশিরা কক্সবাজারে যাতায়াত করেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তুজা হোসাইন অবশ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক চলাচলের জন্য বিমানবন্দরের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
"কর্তৃপক্ষ চাইলে আন্তর্জাতিক চলাচল শুরু করতে পারেন এখন," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

এভিয়েশন বিষয়ে অভিজ্ঞ বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের যে এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট আছে সেখানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরের নাম থাকলেও কক্সবাজারের নামই এখনো অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

তাদের মতে, কক্সবাজার বিমানবন্দর চালুর পর আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সগুলোর সম্ভাব্য যাত্রী ও কার্গো পরিবহন সুবিধাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা করে দেখবে এই বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু বা শেষ করা তাদের জন্য কতটা লাভজনক হবে।

মূলত তখনই বোঝা যাবে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সত্যিকার অর্থেই আন্তর্জাতিক হয়ে উঠতে পারে কি-না। এখন প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার যাত্রী কক্সবাজার বিমানবন্দর ব্যবহার করে।

আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ হলে বছরে ১৮ লাখ যাত্রী সেবা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছিলো কর্তৃপক্ষের দিক থেকে। ওই টার্মিনাল ভবনের নির্মাণ কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন