শিরোনাম
বিবিসি বাংলার সৌজন্যে
প্রকাশ: ০৯:৫০, ১১ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: বিবিসি বাংলার সৌজন্যে।
আজ ঢাকা থেকে প্রকাশিত অধিকাংশ সংবাদপত্রে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত খবর গুরুত্ব পেয়েছে। সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা হামলা ও ককটলে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়েও প্রতিবেদন রয়েছে পত্রিকার পাতায়।
'ঢাকায় চোরাগোপ্তা হামলা নাশকতার আলামত' মানবজমিনের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘিরে ঢাকায় চোরাগোপ্তা হামলা শুরু হয়েছে, খবর বিবিসি বাংলার।
টানা কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে চোরাগোপ্তা হামলা করছে দুর্বৃত্তরা। বেশ কিছু স্থাপনার ভেতরে-বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ও ধারাবাহিকভাবে কিছু বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ছোট ছোট এসব ঘটনা থেকে বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার কথা জানালেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে একের পর এক এত ঘটনা ঘটছে।
এসব ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরও শনাক্ত করা যাচ্ছে না। চোরাগুপ্তা হামলা ও নাশকতার আশঙ্কায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কারণ দুর্বৃত্তরা কখন কোথায় কীভাবে হামলা করছে সেটির আগাম কোনো তথ্য মিলছে না। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই তারা সুবিধাজনক স্থানে বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ করছে।
সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও তিনটি অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
'জটিল ঘূর্ণিপাকে রাজনীতি' এটি কালের কণ্ঠের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের সমাবেশ। দুপুর ২টায় রাজধানীর পল্টনে এ সমাবেশ হতে যাচ্ছে।
জামায়াত থেকে আগেই বলেছে, 'দাবি মেনে না নিলে আগামী ১১ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে'।
এদিকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের এক সপ্তাহের সময় গতকাল সোমবারই শেষ হয়ে গেছে।
এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায় সরকারের। বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোও নিজেদের অবস্থানে অনড়।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো গোপনে কে কার সঙ্গে বৈঠক করছে, কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা হচ্ছে তা নিয়েও নানা গুঞ্জন ও গুজব চলমান।
গতকাল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারীর মধ্যে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত'।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বলেছেন, 'একটি মহল নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া মানে দেশের সর্বনাশ করা'।
রাজনীতির এই ঘূর্ণিপাকের মধ্যে আগামী ১৩ নভেম্বর কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়েও নানা আলোচনা-গুঞ্জন চলমান।
'যক্ষ্ময় দৈনিক মৃত্যু ১২১, তিন দশকের চেষ্টায়ও সাফল্য নেই' এটি প্রথম আলোর শিরোনাম।
খবরে বলা হচ্ছে, তিন দশক ধরে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক অর্থ ও কারিগরি সহায়তা পাওয়ার পরও দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বড় সাফল্য নেই। ওষুধ ও কিট কিনতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দাতাদের কাছে জরুরিভাবে অর্থ চেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের নজরদারির অভাব, এনজিওগুলোর ওপর অতিনির্ভরশীলতা ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চাপ যক্ষ্মা কর্মসূচিকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ওপর সরকারের বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কম। জাতীয় কর্মসূচি হলেও যক্ষ্মার কাজের সম্মুখভাগে মূলত এনজিওগুলোকে দেখা যায়।
কয়েকটি জেলায় রোগী বৃদ্ধির কারণ জানা যাচ্ছে না। অন্যদিকে উপজেলা পর্যায়ে নষ্ট ওষুধ পাওয়া গেলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর কোনো তদন্ত করেনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি কারও নজরদারিতে নেই।
স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচির (সেক্টর কর্মসূচি নামে পরিচিত) অধীন অপারেশন প্ল্যানের (ওপি) আওতায় প্রায় তিন দশক ধরে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে।
দেখা গেছে, অল্প সময়ের জন্য ওপির লাইন ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়। কাজ বুঝে ওঠার আগেই তাকে চলে যেতে হয়, নতুন ডিরেক্টর বসানো হয়।
এ বছর জুলাই মাসে সেক্টর কর্মসূচি বিলুপ্ত করেছে সরকার। যক্ষ্মা এখন মাইকোব্যাকটেরিয়াল ডিজিজ কন্ট্রোল (এমবিডিসি) কর্মসূচির আওতায়।
এমবিডিসির নতুন পরিচালক আলী হাবিব দায়িত্ব নিয়েছেন দেড় মাস আগে। তিনি অবসরকালীন ছুটিতে যাবেন তিন মাস পর। সরকার তখন আবার নতুন পরিচালক নিয়োগ দেবে।
আলী হাবিব অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তার কার্যালয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদককে বলেন, তিনি নতুন মানুষ। যক্ষ্মা পরিস্থিতি বা কর্মসূচি সম্পর্কে তার ধারণা কম। তিনি কিছুদিন পর যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
পহেলা নভেম্বর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দোসরা নভেম্বর যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। এরপর আর কথা হয়নি।
আজকের পত্রিকার শিরোনাম, 'ককটেল আগুনে বাড়ল উদ্বেগ'।
খবরে বলা হচ্ছে, রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে।
এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী বৃহস্পতিবার ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করা হবে।
ওই দিন আবার ঢাকা লকডাউনের হুমকি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। সব মিলিয়ে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ককটেল-আগুনের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক আরও বাড়ল।
পরিস্থিতি যে উদ্বেগের, তা মনে করছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমও। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'চোরাগোপ্তা হামলা হলে স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকে।'