শিরোনাম
বিবিসি নিউজ বাংলার সৌজন্যে
প্রকাশ: ০৯:৩২, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রতীকি ছবি: সংগৃহীত।
শুক্রবার সকালে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্প প্রত্যক্ষ করেছে বাংলাদেশ। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্পকে 'ভবিষ্যতের বড় ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা' হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকালও তিনদফা ভূমিকম্পে কেঁপেছে দেশ।
বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে দেশে ৩৪৪ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সারা দেশে ঝুঁকির মুখে থাকা ভবন প্রতিস্থাপনে ব্যয় হতে পারে ৩৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৭৭ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ঝুঁকিতে থাকা ভবন খুঁজে বের করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেয়া হলে বড় ধরনের মানবিক ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশ।
যুগান্তর
'সামনে বড় ভূমিকম্পের আভাস: ঢাকা ঘিরেই বিপদের শঙ্কা' যুগান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, শুক্রবারের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর শনিবার সকাল ও সন্ধ্যায় আরও তিনটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়।
প্রায় ৩২ ঘণ্টার ব্যবধানে চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এদিন তিনটি ভূমিকম্পের মধ্যে একটির উৎপত্তিস্থল নরসিংদী। বাকি দুটির উৎপত্তিস্থল খোদ রাজধানী ঢাকার বাড্ডায়।
এসব 'আফটার শক' বড় ভূমিকম্পের লক্ষণ হতে পারে। যুগান্তরকে এমনটিই জানিয়েছেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ।
তারা বলেন, বড় ধরনের ভূমিকম্পের শক্তি যেখানে ঘনীভূত হয়, তাকে ভূতাত্ত্বিক ভাষায় সাবডাকশন জোন বলা হয়। বাস্তবতা বলে দিচ্ছে, ঢাকার অবস্থান এই জোনের কাছাকাছি।
এছাড়া ঢাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার মতো অবস্থা এখন ভূগর্ভে বিরাজমান। তাদের মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও ভয়ংকর ভূমিকম্পগুলো সাবডাকশন জোন ও এর আশপাশেই হয়ে থাকে।
তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। মনোবল হারানো যাবে না। একই সঙ্গে ৭-৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল করে ভবন নির্মাণে সবাইকে দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বাড়ির সামনে প্রশস্ত রাস্তা থাকাও জরুরি। ইতোমধ্যে নিয়মবহির্ভূতভাবে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেই হবে।
'ছাত্র উপদেষ্টারা চান বিএনপি সঙ্গে যেতে, দোটানায় এনসিপি' সমকালের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, ছাত্র উপদেষ্টারা চান এনসিপি আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে জোট করুক।
তবে এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বসহ অধিকাংশ নেতা এর জন্য অন্তত ২০টি আসন, নির্বাচনের মাঠে সাংগঠনিক সহায়তা এবং দলের বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকার নিশ্চয়তা চান।
এই নিশ্চয়তা না পেলে তারা বিএনপির সঙ্গে জোট করতে রাজি নন। বিকল্প হিসেবে তারা জামায়াতের সঙ্গে বিএনপিবিরোধী বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতায় যেতে চান।
ফলে দোটানায় পড়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের গঠিত এনসিপি।
গত ১৩ নভেম্বর মন্ত্রিপাড়ায় একজন ছাত্র উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে এনসিপির ৩০ জনের বেশি নেতার বৈঠক হয়।
পরের দিন দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভা হয়। বৈঠকগুলোতে অংশ নেওয়া এনসিপির ছয়জন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পেয়েছে সমকাল।
এই নেতারা জানিয়েছেন, দুই উপদেষ্টা ছাড়াও এনসিপির শীর্ষ ১০ নেতার অন্তত দুজন বিএনপির সঙ্গে জোট চান। তাদের একজন ঢাকায়, আরেকজন উত্তরবঙ্গে বিএনপি জোটের প্রার্থী হতে চান।
দুই ছাত্র উপদেষ্টার একজন জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় আগ্রহী নন। অন্য উপদেষ্টার অভিমত আগামী নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সরকােরের সময়ে নিরাপত্তার কারণে বিএনপির সঙ্গে থাকা উচিত।
সমকাল
'এবারের জাতীয় নির্বাচনকে সুযোগ হিসেবে দেখছে ইসলামী দলগুলো' নয়াদিগন্তের শিরোনাম। খবরে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালো ফলাফলের প্রত্যাশা করছে ইসলামী দলগুলো।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনসাধারণের মধ্যে ইসলামী দলগুলোর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে বলে মনে করে দলগুলোর নেতারা। এতে আশায় বুক বেঁধেছে ইসলামী দলগুলো।
তবে এককভাবে কোনো দলের পক্ষেই ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়-এমনটাও মনে করেন তারা। এজন্য দলগুলোর ঐক্য কিভাবে আরো সুসংহত করা যায় সেদিকে মনোনিবেশ করছে দলগুলো।
এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পক্ষের সাম্প্রতিক ঐক্যবিরোধী ভূমিকাকে পাত্তা না দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নেতাদের।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে দেশে ইসলামী দলগুলোর জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য প্রত্যাশাও বেড়েছে।
তবে দেশে যেসব ইসলামী দল রয়েছে তারা বিগত সময়ে কখনোই এককভাবে ক্ষমতায় যেতে পারেনি।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও এককভাবে কোনো ইসলামী দলের ক্ষমতায় যাওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
এ ক্ষেত্রে সব ইসলামী দল এক হয়ে একটি জোট গঠন করতে পারলে সেটি ভালো ফল বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন দলগুলোর নেতারা।
নয়াদিগন্ত
'৪০টির বেশি আসনে অসন্তোষ, বিরোধ সামলাতে ব্যস্ত বিএনপি' প্রথম আলোর শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ, কর্মীদের মধ্যে বিভাজন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
৪০টির বেশি আসনে প্রার্থিতা নিয়ে অসন্তোষ চরমে পৌঁছেছে। এর জেরে বিক্ষোভ, মিছিল, সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি চলছে। গতকাল শনিবারও অন্তত আটটি আসনে বিক্ষোভ হয়েছে।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, মনোনয়ন বিরোধকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় দলের ঐক্য নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।
এলাকায় প্রভাব আছে, মনোনয়নবঞ্চিত এমন অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোেট করতে পারেন, এমন আশঙ্কাও আছে।
এমতাবস্থায় বিরোেধ সামলাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উদ্যোগী হয়েছেন। দায়িত্বশীল নেতারা একে একে বিরোধপূর্ণ আসনের সব পক্ষকে ঢাকায় ডেকে কথা বলছেন।
সমঝোতার চেষ্টা করছেন। কিছু কিছু আসনে প্রার্থী পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা আছে বলেও জানা গেছে।
প্রথম আলো
'মৃত্যুকূপে বসবাস পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের' কালের কণ্ঠের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, 'আমরা আতঙ্ক নিয়ে পুরান ঢাকায় বাস করি। যখন কোনো ঘটনা ঘটে, তখন সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়া যায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে কার্যকর পদক্ষেপ বা পরিবর্তন আজও দেখা যায়নি।'
শুক্রবার প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দেওয়া ভূমিকম্পের ঘটনায় কালের কণ্ঠের কাছে এমন মন্তব্য করেন পুরান ঢাকার আরমানিটোলার বাসিন্দা আবদুর রহিম।
তাঁর এ কথায় ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ নিয়ে সেখানকার মানুষের উদ্বেগ ফুটে উঠেছে।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড, আরমানিটোলা, কসাইটুলী, চুড়িহাট্টা, নিমতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় এখনো রয়ে গেছে বহু পুরনো জরাজীর্ণ ভবন। দেখলেই বোঝা যায়, ভূমিকম্পের সে রকম একটা শক্ত ঝাঁকুনি খেলে হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়বে এসব।
শুক্রবার বংশালের কেপি ঘোষ রোডের ৫১ নম্বর বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অনেক মানুষের ভিড়।
কালের কণ্ঠ
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম 'Experts flag growing underground stress'. খবরে বলা হচ্ছে, মাত্র ৩২ ঘন্টার মধ্যে ঢাকার কাছে তিনটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কারণ ভূকম্পবিশষেজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেনে এটি আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে।
শুক্রবার সকালে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ঢাকা, নরসিংদী এবং নারায়ণগঞ্জে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
গতকাল সকাল ১০ টা ৩৬ মিনিটের দিকে নরসিংদীর পলাশে ৩ দশমিক ৩ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে তৃতীয় ভূমিকম্পটি ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ছিল।
তিনটিরই কেন্দ্রস্থল ছিল রাজধানীর পাশের নরসিংদীতে।
বাংলাদেশের অনেক ফল্ট লাইন আরও ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ায় কিনা জানতে চাইলে ভূকম্পবিদ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, কেবল ফল্ট লাইনের উপস্থিতিই সমস্যা নয়।
আসল উদ্বেগের বিষয় হল সাবডাকশন জোনে জমা হওয়া শক্তি কি বড় ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।
ঢাকা ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোনের কাছাকাছি অবস্থিত। যেখানে ভারতীয় প্লেট দেশের পূর্ব প্রান্তে বার্মা প্লেটের নীচে ডুবে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা প্রায় দুই দশক ধরে সতর্ক করে আসছেন যে এই ধরণের জোনের কাছাকাছি অবস্থিত থাকার অর্থ হল সিসমিক টাইম বোমার ওপর থাকা।
দ্য ডেইলি স্টার
'ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন' আজকের পত্রিকার শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সরকারি - বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৪ টি ' অতি ঝুঁকিপূর্ণ ' ভবন সাতদিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা কিংবা ভেঙে ফেলতে দেড় বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ( মাউশি ) অধিদপ্তর ।
রাজউকের সুপারিশের ভিত্তিতে জারি করা নির্দেশনাটি এখনো শুধু কাগজেই রয়ে গেছে । এতে হাজারো শিক্ষক - শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে — বলছেন বিশেষজ্ঞরা ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন , দেশ ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে । গত দুই দিনে চারটি ভূমিকম্পে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে ।
এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার ৪৪ টি ভবন দ্রুত অচল না করলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না ।
সংশ্লিষ্ট একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কেউ কেউ বলছেন , মাউশি ভবন সিলগালা অথবা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দিলেও তা করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব নয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানোর বিকল্প কোনো উপায় নির্ধারণ না হওয়ায় নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না । আবার কেউ কেউ বলছেন , এমন নির্দেশনার বিষয়টি তাঁরা এখনো জানেন না ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে , নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানবজমিন
'উত্তপ্ত আন্ডারওয়ার্ল্ডে আধিপত্যের লড়াই' মানবজমিনের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, হঠাৎ করেই উত্তপ্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড। লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়ছে।
রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণাধীন ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি বেড়েছে।
দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে কলকাঠি নাড়ছে দেশের অপরাধ জগতের গডফাদাররা। চলছে এলাকা নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য বিস্তারের লড়াই।
আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ঝরছে প্রাণ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্ডারওয়ার্ল্ডের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ঘটনায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের সরাসরি কানেকশন মিলেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তেও সত্যতা মিলেছে। প্রকাশ্য সন্ত্রাসীরা তৎপরতা চালালেও শুধুমাত্র কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই পুলিশি তৎপরতা বাড়ে।
অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া আচরণ ও প্রাণের ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী মুখ খুলতে চান না। এমনকি তারা থানায় অভিযোগ ও পুলিশকে বিষয়টি জানান না।
দেশ রুপান্তর
'সন্দেহে ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী' দেশ রূপান্তরের পেছনের পাতার একটি শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হাউজ ফের মেরামতের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
ভবনটি না ভেঙে শুধু শেড দিয়ে তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্র্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
অগ্নিকাণ্ডের সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা সরঞ্জাম লুটের অভিযোগে এখনো তোলপাড় চলছে। আগুন লাগার সময় দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থার ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন গোয়েন্দারা।
তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইলও সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তদন্ত সংস্থাগুলো তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে কার্গো হাউজ মেরামতের কাজ সরকারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ভাইয়ের প্রতিষ্ঠানকে দিতে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।