ঢাকা, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সিরিয়াল ছাড়াই পণ্য পরিবহন ২৪ লাইটার জাহাজে নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৪:২৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:২৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিরিয়াল ছাড়াই পণ্য পরিবহন ২৪ লাইটার জাহাজে নিষেধাজ্ঞা

ছবি: চট্টগ্রামের পূর্বকোণের সৌজন্যে।

 

নিয়ম ভঙ্গ করে সিরিয়াল ছাড়া পণ্য পরিবহন করায় ২৪টি লাইটার জাহাজে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে খোদ নৌপরিবহন অধিদপ্তর। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই সব জাহাজের রেজিস্ট্রেশন, সার্ভে ও বে-ক্রসিং সনদ স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, রিপোর্ট চট্টগ্রামের পূর্বকোণের সৌজন্যে।

জাহাজ মালিকেরা জানান, বিদেশ থেকে পণ্য নিয়ে এসে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে অবস্থান করা মাদার ভেসেলগুলো থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহন করে ছোট লাইটার জাহাজ। এই জাহাজগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জাহাজ মালিকদের তিন সংগঠনকে নিয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে গঠন করে দেওয়া হয় বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি)। এই সংগঠনের দেওয়া সিরিয়াল অনুযায়ী ছোট জাহাজগুলোকে বড় জাহাজ থেকে পণ্য বোঝাই করতে হয়। তবে কিছু অসাধু ব্যক্তি সিরিয়াল ভঙ্গ করে জাহাজে পণ্য পরিবহন করে। এরকম নিয়ম না মানা অন্তত ৩শ লাইটার জাহাজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক হাজার জাহাজ। এতে সাধারণ লাইটার জাহাজ মালিকেরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওইসকল জাহাজে কর্মরত নাবিক শ্রমিকেরা।

বিডব্লিউটিসিসি এর আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই নিষেধাজ্ঞা দেয় নৌপরিবহন অধিদপ্তর।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ২৪ জাহাজগুলো হলো- এমভি মাদার ক্বাবা, এমভি শামীম এন্টারপ্রাইজ, এমভি নিনো ট্রেডার্স, এমভি মেরাজ, এমভি সাকিফ-১, এমভি আরিফুল্লাহ, এমভি কুমিল্লা সানজিদা, এমভি মকবুল-২, এমভি সালমান, এমভি রাজিয়া সুলতানা, এমভি লালমনি, এমভি ফারদিন, এমভি আবিদা, এমভি লাবিব, এমভি রাইসা, এমভি শামসুল, এমভি আরিফা, এমভি মদিনা, এমভি হামজা, এমভি ফরিদ, এমভি মাকসুদ, এমভি নাজমা, এমভি শিফা, এমভি সুমাইয়া।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়- বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহ ও তৎসংলগ্ন এলাকা হতে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, নির্বিঘ্ন ও সুশৃঙ্খলভাবে পণ্য পরিবহন করার স্বার্থে সরকার নৌপরিবহন অধিদপ্তর হতে অনুমতিপ্রাপ্ত লাইটার জাহাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহে পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০২৪ প্রণয়ন করে।

নীতিমালার ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি) কর্তৃক বরাদ্দ/ছাড়পত্র ব্যতীত কোনো লাইটার জাহাজ বাংলাদেশের কোনো সমুদ্র বন্দর, সমুদ্র উপকূলীয় নদীবন্দর ও নদীর উভয় পাড়ে অবস্থিত সকল প্রকার জেটি, সমুদ্র নোঙ্গরে আগত মাদার ভেসেল হতে পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবে না। ব্যত্যয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওই লাইটার জাহাজের সার্ভে, উপকূল অতিক্রমের অনুমতিপত্র বাতিল/স্থগিত করতে পারবেন।

তবে শর্ত থাকে, যে সকল ‘ফ্যাক্টরি’ ও ‘গ্রুপ অব কোম্পানি’র নিজস্ব লাইটার জাহাজ আছে, সেই সকল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অব্যাহতি পত্র সাপেক্ষে তাহাদের নিজস্ব পণ্য কেবল মাত্র নিজস্ব জাহাজে পরিবহন করতে পারবে। যদি ‘ফ্যাক্টরি’ ও ‘গ্রুপ অব কোম্পানি’র পণ্য পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত লাইটার জাহাজ প্রয়োজন হয়, তবে বিডব্লিউটিসিসি এর মাধ্যমে বরাদ্দ গ্রহণ করতে হবে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তর জানায়- বিডব্লিউটিসিসি’র ছাড়পত্র ছাড়া বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহ ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২৪টি লাইটার জাহাজের রেজিস্ট্রেশন, সার্ভে ও বে-ক্রসিং সনদ স্থগিত করা হলো।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন