ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

২৯ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

উপলক্ষ্য রমজান মাস

বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ১০ পণ্য আমদানির অনুমতি

নিত্য মুদি পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে ফেডারেশনের অনুরোধ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২:২৫, ১২ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২২:২৮, ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ১০ পণ্য আমদানির অনুমতি

প্রতিনিধিত্বশীল ছবি। সংগৃহীত।

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় ১০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির অনুমতি দিয়েছে। 

এই পণ্যগুলো হলো—চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর, রিপোর্ট বাসসের। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরবরাহকারী বা ক্রেতার ঋণব্যবস্থার অধীনে সর্বোচ্চ ৯০ দিন মেয়াদে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই সুবিধা ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।

এদিকে, চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরসহ  নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সকল চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খান।

আজ বুধবার এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বাজার সমিতির নেতৃবৃন্দ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টিসিবি, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে মো. আবদুর রহিম খান বলেন, সরকারের একার পক্ষে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকার, বেসরকারি খাত এবং গণমাধ্যমকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

সভার শুরুতে নিত্যপণ্যের বাজার সম্পর্কে একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর। প্রতিবেদনে বিভিন্ন সময় দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ, নিয়ন্ত্রণের উপায়সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়।

সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে চিনি ও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানান, মিল মালিকরা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পারলে আগামী রমজানে এসব পণ্যের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

মিল মালিকদের প্রতিনিধিরা জানান, এ বছর চিনির বাজার অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো। আন্তর্জাতিক বাজারেও চিনির দাম কম। তবে, প্রতিবছর শীতকালে কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। এমন হলে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কার কথা জানান তারা।

এদিকে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায় কমে সয়াবিন এবং পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে আগামী রমজানে তেলের দাম বৃদ্ধির সুযোগ নেই বলেও জানান তারা।

অন্যদিকে, বাজার স্বাভাবিক রাখতে কিছু কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক পুনর্বিবেচনার কথাও জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়া, বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগেও ভোজ্যতেল আমদানির পরামর্শ দেন তারা।

সভায় উঠে আসা মূল্যবান পরামর্শ এবং মতামত দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান এফবিসিসিআই প্রশাসক।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন