শিরোনাম
মো: নাঈম হোসেন তালুকদার
প্রকাশ: ১০:০৬, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
মিরপুর সেকশন ১০ এর কাছে বাহারি শীতবস্ত্রের দোকান। মো: নাঈম হোসেন তালুকদার
দেশের উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যে জাঁকিয়ে শীত জাঁকিয়ে বসলেও রাজধানীতে শুরু হয়েছে শীত-শীত ভাব। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতের পোশাকের চাহিদা। দামি ব্র্যান্ডেড শোরুম থেকে শুরু করে ফুটপাতের ভাসমান দোকানী সবাই এখন বাহারি শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছে। আর সাধ্যমতো পছন্দের পোশাকটি কিনতে ভিড় করছেন সব শ্রেণির ক্রেতারা।
রাজধানীর শীতের পোশাকের বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে আছে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলো। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের, বিশেষ করে এক্সপোর্ট কোয়ালিটির শীতবস্ত্রের যোগান।
পোশাকের বৈচিত্র্য রয়েছে বিস্তর। ফুল হাতার গেঞ্জি, হুডি, ডেনিম ও জিন্সের জ্যাকেট, ওভারকোট, উলের কোট থেকে শুরু করে সব ধরনের আধুনিক ও ফ্যাশনেবল শীতের কাপড় মিলছে এসব দোকানে।
ক্রেতার সন্তুষ্টি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতা, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা অল্প দামে একাধিক পোশাক কিনতে পেরে খুশি হচ্ছেন। অনেকেই এখান থেকে কিনে গ্রামের বাড়িতেও পাঠাচ্ছেন।
ভাসমান দোকানগুলোর বিক্রেতারা জানান, মূলত তৈরি পোশাক কারখানা বা এক্সপোর্টের দোকানগুলো থেকে সামান্য ভুল বা ত্রুটির কারণে বাতিল হওয়া পোশাকগুলো তারা 'লটে' বা একসঙ্গে কম দামে কিনে আনেন। এ কারণে ক্রেতারাও অত্যন্ত কম দামে মানসম্মত এক্সপোর্ট কোয়ালিটির পোশাক কিনতে পারেন।
মিরপুর এলাকার ফুটপাতের দোকানে হুডি জ্যাকেট পাওযা যাচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাতলা শোয়েটার ২০০-৩০০ টাকায়, মোটা শোয়েটার ৫০০ টাকা থেকে শুরু। এদিকে, জিন্সের জ্যাকেটের দাম সর্বনিম্ন ৮০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতা ফারুক হোসেনের ভাষ্য মিরপুর ১ সহ বিভিন্ন এলাকার এক্সপোর্টের দোকান ও গার্মেন্টসের পার্শ্ববর্তী কারখানা থেকে তিনি লটে পোশাক সংগ্রহ করেন। অল্প লাভে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, "এখানে ছাত্ররা বেশি আসে। অল্প টাকায় ভালো জ্যাকেট বা হুডি পেয়ে ওরা খুব খুশি হয়।"
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব পোশাকের চাহিদা তুঙ্গে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:
তরুণদের জন্য আকর্ষণীয় হুডি,ডেনিম জ্যাকেট এবং ফুলহাতা গেঞ্জি।
প্রয়োজনীয় উষ্ণতা দিতে সক্ষম সোয়েটার ওভারকোট উলের কোট এবং আনুষাঙ্গিক মোজা, মাফলার এবং কানটুপির চাহিদাও এখন বেশ লক্ষণীয়।
ফুটপাতের পাশাপাশি নামিদামি ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতেও শীতের নতুন কালেকশন এসেছে। সামর্থ্যবান ক্রেতারা সেখানে ভিড় করছেন, তবে সামগ্রিক বাজারে ফুটপাতের সাশ্রয়ী পোশাকের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি।
অপেক্ষাকৃত দেরিতে হলেও, রাজধানীতে এখন পুরোদমে শীতের পোশাকের বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই আশা, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বাজার আরও জমে উঠবে।