ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

২৯ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

রোহিঙ্গা তহবিলের জন্য কানাডার সাহায্য চান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২১:৫৯, ১২ নভেম্বর ২০২৫

রোহিঙ্গা তহবিলের জন্য কানাডার সাহায্য চান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে কানাডার প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করে। ছবি: মন্ত্রণালয়

 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বর্ধিত আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহে কানাডার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। 

একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই দীর্ঘস্থায়ী মানবিক পরিস্থিতির একমাত্র টেকসই সমাধান, রিপোর্ট বাসসের। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কানাডার পার্লামেন্টের একজন সিনেট সদস্য, দু’জন জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য এবং হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের (এইচসিআই) নির্বাহীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশেষ করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের ব্যাপারে কানাডার প্রতিনিধিদলের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা হয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কানাডার অব্যাহত মানবিক সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদি সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ কমে যাওয়া ও তহবিল হ্রাসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে দীর্ঘ সময় অবস্থানের ফলে মানব পাচার, মাদক চোরাচালান এবং অস্ত্র ব্যবসার মতো ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যাতে ক্যাম্প এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়েরই ক্ষতি হচ্ছে।

কানাডার পররাষ্ট্র, নাগরিকত্ব ও অভিবাসন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটিতে দায়িত্ব পালন করা সংসদ সদস্যরা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন এবং মানবিক সহায়তা ও টেকসই সমাধানের প্রতি কানাডার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তারা রোহিঙ্গা শিশু ও যুবকদের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ পাচারের ঝুঁকি কমাতে, ইতিবাচক সামাজিক আচরণ শেখাতে এবং শেষ পর্যন্ত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে পারে।

ড. খলিলুর রহমান বলেন, এই উদ্বেগগুলো সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ ও সমন্বয় অব্যাহত রয়েছে।

উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক লাভজনক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন