ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯:৩৯, ২৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ইউএনবি।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করেছে সরকার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল বাল্লা স্থলবন্দর।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ৪০তম বৈঠকে বাল্লা স্থলবন্দরের অপারেশন কার্যক্রম স্থগিত রাখার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়, রিপোর্ট ইউএনবি’র।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল স্থলবন্দরটি। কিন্তু বন্দরটিতে কোনো কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। বর্তমানে নির্মাণকাজ শেষে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় বন্দরটি এখন অরক্ষিত রয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কেদারাকোট নামক স্থানে স্থলবন্দরটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ ১৩ একর এলাকা জুড়ে স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে শেষ হয়।
বন্দরের অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অপরদিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ খোয়াই নদীর অপর তীরে ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়মুড়ায় সময়মত বন্দর স্থাপন না করায় বাল্লা স্থলবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
উল্লেখ্য ১৯৫১ সালে চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী বাল্লা এলাকায় ৪ দশমিক ৩৭ একর জায়গা নিয়ে একটি একটি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১৯৯১ সালে পুনরায় চালু করা হয়। এ পোস্ট দিয়ে কিছু পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা হতো। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ বাল্লাকে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছিল সরকার।
চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সরকার বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করায় এটি অরক্ষিত হয়ে পড়বে। এখনই এর অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। বাল্লা স্থলবন্দর যাতে অরক্ষিত না থাকে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’