ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

২৯ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

মোন্থা ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপের বৃষ্টিতে অনেক স্থানে ধানের ক্ষতি

দেশের নানা স্থানে শুরু হয়েছে আমন ও অন্যান্য ধান কাটা

আবুল কাশেম

প্রকাশ: ১৬:১২, ২ নভেম্বর ২০২৫

মোন্থা ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপের বৃষ্টিতে অনেক স্থানে ধানের ক্ষতি

আমন ধান পেকে উঠছে। অকষ্মাৎ বৃষ্টিতে অনেক স্থানে ধানের ক্ষতি হয়েছে। ছবি: আবুল কাশেম, দিনাজপুর।

ধান পেকেছে এবং আর কিছুদিন পরেই তা কাটা হবে। সারা দেশ, বিশেষ করে গ্রামগুলোতে নবান্ন, একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব হবে। চারা লাগানো থেকে শুরু করে রোপণ, নিড়ানি দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার করা, কীটনাশক স্প্রে করা, প্রয়োজনীয় জলের পরিমাণ বজায় রাখা, খরা এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত নিয়ে উদ্বেগ - এত লম্বা অপেক্ষার পর কৃষকরা একটি ভালো ফলনের আশা করেন। যদি তারা ভালো ফসল পান, তবে তারা খুশি হন এবং দেশের অর্থনীতি প্রাণবন্ত হয়। বিপরীতে, যখন উৎপাদন কম হয়, তখন তাদের উদ্বেগ ও দুর্ভোগ বাড়ে। এখন, বাংলা মাস কার্তিক হাজির হয়েছে কাইতারি নামে পরিচিত শিলাবৃষ্টি নিয়ে। মাঠের পর মাঠ ধানের ক্ষেত মাটিতে লুটিয়ে গেছে। তার মানে কৃষকরা তাদের অর্ধেক ফসল পাবেন এবং এর জন্য তাদের ফসল ঘরে তুলতে দেড় গুণ বেশি খরচ করতে হবে।

কোন কোন স্থানে ফসল তোলা শুরু হয়েছে।  ধান ঘরে তোলার পর নবান্ন উৎসবের আয়েজন হবে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতসহ অনুকূল আবহাওয়া ভালো উৎপাদনে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছিল কিন্তু, গত ক’দিনে মোন্থা ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিতে অনেক স্থানে ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঠাকুর গাঁ, পঞ্চগড় সহ বেশ কিছু স্থানে ধান কাটা শুরু হয়েছিল। তবে, আকস্মিক বৃষ্টির কারণে ধান গাছ পড়ে যাওযাতে ফসলের বেশ ক্ষতি হবে বলে ঠাকুর গাঁয়ের এক কৃষক বিজ বাংলাকে জানিয়েছেন। 

কৃষকরা এখন উচ্চ ফলনশীল (HYV) এবং নির্দিষ্ট স্বল্প-মেয়াদী জাতের ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

উফশী জাত: ব্রি ধান ৯০, ব্রি ধান ৯৫, ব্রি ধান ৭৫, ব্রি ধান ৭১, বিনা ধান ১৭, বিনা ধান ১৬ ও হাইব্রিড হীরা-২ এবং হীরা-১০।
সরকারি সংগ্রহ অভিযান

একটি ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী সরকার ২০২৫ সালের বোরো মৌসুম থেকে ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন চাল এবং ৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিল।
 
সরকারি খাদ্য মজুত এবং আমদানি পরিস্থিতি: খাদ্যশস্য ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মজুতের পরিমাণ (মেট্রিক টন) চাল ১,৫৬৬,২৮৩ টন, গম ৬০,২০৪ টন, ধান ৬,০৮৩ টন । মোট মজুত: চাল, গম ও ধানকে একত্রিত করে মোট মজুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১,৬৩০,৪৪১ মেট্রিক টন (চালের সমতুল্য)।

সরকারি গুদামে ২০ আগস্ট খাদ্যশস্য মজুতের পরিমাণ ছিল ২২,০৪,৪৭৮ মেট্রিক টন।হ্রাসের পরিমাণ: অর্থাৎ, মাত্র ৫০ দিনের ব্যবধানে খাদ্য মজুত ৫,৭৪,০৩৭ মেট্রিক টন কমে গেছে। চলতি অর্থবছরে আমদানি:আমদানি (১ জুলাই থেকে ৮ অক্টোবর): চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয় ৫০,৪৩০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছে। আমদানির লক্ষ্যমাত্রা (চলতি অর্থবছর): সরকার এই অর্থবছর মোট ৯,০০,০০০ মেট্রিক টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করেছে।বরাদ্দ: এই আমদানির জন্য বাজেটে ৫,৪৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত অর্থবছরের আমদানি (২০২৪-২৫) অর্থবছরে সরকার ৮,৩৫,০০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছিল।
 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন