শিরোনাম
মোঃ নাঈম হোসেন তালুকদার
প্রকাশ: ১৯:০৩, ৩ নভেম্বর ২০২৫
আগাম শীতকালীন শাকশব্জি বাজারে আসায় দাম একটু কমেছে। ছবি: নাঈম হেসেন তালুকদার।
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় অবশেষে স্বস্তি ফিরে ফিরে এসেছে ক্রেতাদের মধ্যে। সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে, যা সাধারণ মানুষের কেনাকাটায় কিছুটা হলেও সন্তুষ্টি এনেছে।
কয়েক সপ্তাহ আগেও সবজির দাম ছিল লাগামছাড়া। প্রতি কেজি ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজিই বাজারে পাওয়া যেত না। তবে, শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসা নতুন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিত্রটা অনেকটাই বদলে গেছে।
মিপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের আগাম সবজির মধ্যে অন্যতম সিম যার দাম অনেকটা কমে গেছে । সপ্তাহ ২ আগে প্রতি কেজি সিমের দাম ছিল ৮০ টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে।
মাঝারি আকারের বাঁধাকপি প্রতিটি ৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৬০ টাকা প্রতিটি এবং মুলার কেজি এখন ৩০ টাকা । এদিকে, পুরাতন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা প্রতি কেজি, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা তবে পেঁপে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিমের দাম কমার প্রভাবে অন্যান্য সবজির দামেও তার প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ সবজির দামই এখন তুলনামূলকভাবে কম।
তবে পাড়া-মহল্লার ছোট দোকানগুলোতে সবজির দাম এখনো কিছুটা বেশি। বিক্রেতাদের মতে, মূল বাজার থেকে সবজি কিনে আনা, যাতায়াত খরচ এবং অন্যান্য খরচ যুক্ত হওয়ায় তাদের বিক্রির দামে কিছুটা তারতম্য দেখা যায়।
মিরপুর-১ নম্কাঁবর সেকশনের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সুমন হোসেন দামের তারতম্য নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "শীতের সবজি আসার কারণে সকল সবজির দাম তুলনামূলকভাবে একটু কমেছে। তবে এখানে একটি তারতম্য আছে।"
পাইকারি বা ঢালাও ক্রয় করলে অর্থাৎ কোন বাছ-বিচার না করে কিনলে কম দামে পাওয়া যায়।
বেছে নিলে বেশি দাম । কিন্তু যদি দেখে-শুনে ভালো সবজি বেছে নিতে হয়, তবে দাম তুলনামূলকভাবে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দিতে হয়।
সুমন হোসেন বলেন যখন ট্রাকে করে সবজি নিয়ে আসা হয়, তখন অনেক সবজিতে দাগ বা ময়লা ইত্যাদি থাকে। ঢালাওভাবে এগুলো নিলে দাম কম পড়ে। “কিন্তু আমরা খরিদ্দারের কথা ভেবে ভালো সবজি বিক্রি করি এবং ভালো সবজিগুলো বেশি দামে কিনে নিতে হয়। এছাড়া যাতায়াত খরচ ও অন্যান্য খরচও যোগ হয়। এই সব মিলিয়ে আমাদের তুলনামূলকভাবে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।"
সুমন হোসেন আশাবাদী যে সামনে সবজির দাম আরও কমবে। তিনি বলেন, "সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের এখন আর খুব একটা অস্বস্তি নেই। তারা স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পারছেন। এবারের শীতের সকল ফসল-সবজিই সবার কেনার সাধ্যের মধ্যে আছে।
একজন ভোক্তা জেসমিন আক্তার বিজ বাংলাকে বলেন, শীতের সবজির দাম কমায় খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য স্বস্তিকর হয়েছে।