শিরোনাম
মো: নাঈম হেসেন তালুকদার
প্রকাশ: ০৮:৫৭, ৬ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর মাছের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মাছের দাম বেশ চড়া। ছবি: মো: নাঈম হেসেন তালুকদার
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ শুরু হয়েছে এই সপ্তাহে, কিন্তু ক্রেতাদের স্বস্তি নেই। কারণ, বাজারে ইলিশের দাম এখনও ‘আগের মতোই চড়া’। শুধুমাত্র ইলিশ নয়, বাজারের অন্যান্য মাছের দামও রয়েছে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর মাছের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইলিশের দাম সাধারণ ক্রেতার সাধ্যের বাইরে।
ছোট ইলিশ (৩০০-৪০০ গ্রাম): প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাঝারি ইলিশ (কেজি) ১,৬০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড় ইলিশ (১ কেজি বা তার উপর) বিক্রি হচ্ছে ২,৫০০ টাকা থেকে ২,৬০০ টাকা প্রতি কেজি দরে।
মিরপুর-১ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী জাবেদ সরকার (৬০) জানান, চড়া দামের প্রধান কারণ হলো তাদের বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। এছাড়াও, মাছের বাজারে পৌঁছানো পর্যন্ত বরফ, পরিবহন ও অন্যান্য যাতায়াত খরচ যোগ হয়ে দাম কিছুটা বাড়ে।
৪২ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত জাবেদ সরকার আরও জানান, মাছ যেহেতু দ্রুত পচনশীল, তাই সময়মতো বিক্রি করতে না পারলে অনেক সময়ই লোকসান গুনতে হয়। তিনি বলেন, "যদি সময় মতো বিক্রি না করা হয় তাহলে মাছ প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ক্ষতি হতে পারে। “
তিনি জানান, আজ তিনি ইলিশ মাছ বিক্রি করছেন ৮০০ টাকা কেজিতে, যেখানে তার কেনা দাম ছিল ৭২০ টাকা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাধারণত শুক্রবারে অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়, কারণ সরকারি ছুটি থাকায় ক্রেতারা সেদিন বেশি কেনেন। সকল খরচ বাদে তার প্রতিদিন প্রায় ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা লাভ থাকে।
আগে ইলিশ মাছ এক হালি হিসেবে বিক্রি হলেও এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। জাবেদ সরকার জানান, হালিতে সব সময় একই সাইজের মাছ না মেলায় ক্রেতারা অস্বস্তিতে পড়তেন এবং সবার একসঙ্গে হালি কেনার সামর্থ্য থাকত না। কেজিতে বিক্রির ফলে এখন গরিব ও মধ্যবিত্ত সবাই তাদের প্রয়োজনমতো মাছ কিনতে সক্ষম হচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।
মাছ কিনতে আসা ভোক্তা মোঃ জাকির হোসেন চড়া দামে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন "এখন মাছের দাম থাকার কথা কম, কিন্তু হচ্ছে তার উল্টোটা। মাছের দাম খুব চড়া।" তিনি জানান, ইলিশের এই উচ্চমূল্য সাধারণ মানুষকে হতাশ করছে।