ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:১৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:২০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবি: গাল্ফ নিউজের সৌজন্যে।
ওমানের অনেক ক্রিকেটারের কাছে এশিয়া কাপে খেলা শুধু একটি টুর্নামেন্ট নয়, এটি এমন একটি স্বপ্নের বাস্তব রূপ যা একসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। প্রতিটি খেলোয়াড়ের রয়েছে এক স্বতন্ত্র গল্প, যা বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম, হতাশা, অধ্যবসায় এবং খেলার প্রতি এক অটুট ভালোবাসা দিয়ে বোনা।
দলের অধিনায়ক যতিন্দর সিং পিটিআই ভিডিওকে বলেন, "যখন আমরা শুরু করেছিলাম, আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল কেবল একটি চাকরি পাওয়া— ক্রিকেট ছিল দ্বিতীয় বিষয়। আমাদের বেশিরভাগই অফিসে চাকরি করতাম এবং তার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতাম। আমরা সিমেন্টের উইকেটে খেলা শুরু করি, ২০০৮ সালে অ্যাস্ট্রোটার্ফে উন্নীত হই এবং অবশেষে ২০১১ সালে একটি সত্যিকারের ঘাসের মাঠ পাই। এমন অনেক মুহূর্ত ছিল যখন আমি ভাবতাম, কোনো ফল না দেখে কেন আমি এত পরিশ্রম করছি। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি ক্ষুধা এবং ভালোবাসা আমাদের চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।"
তাদের এই পথচলা সহজ ছিল না। সুযোগের অভাব এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে অনেক খেলোয়াড় মাঝপথেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু যতিন্দর এবং অলরাউন্ডার সুফিয়ান মাহমুদ-এর মতো কয়েকজন হাল ছাড়েননি, লেগে ছিলেন, রিপোর্ট করেছে গাল্ফ নিউজ।
৩৬ বছর বয়সী যতিন্দর ৩৬টি ওডিআই ম্যাচে ১,৭০৪ রান করেছেন, যার মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি রয়েছে এবং সর্বোচ্চ অপরাজিত ১১৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে তিনি ১১৫-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ১,১২০ রান করেছেন। ৩৪ বছর বয়সী সুফিয়ান আটটি ওডিআই ম্যাচ খেলে ১০৭ রান করেছেন (সর্বোচ্চ রান ৭২) এবং ২৪.৫০ গড়ে ছয়টি উইকেট নিয়েছেন।
সুফিয়ানের জন্য চ্যালেঞ্জ শুধু ক্রিকেট মাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি মনে করে বলেন, “যখন আমি জাতীয় দলে যোগ দিই, আমার বাবা-মা বলেছিলেন এখানে ক্রিকেটে কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং আমাকে পড়াশোনা ও কাজের দিকে মনোযোগ দিতে বলেন।”
“কিন্তু আমার নিজের প্রতি সবসময় বিশ্বাস ছিল। খেলার সেই আগ্রহটা আমাকে কখনোই ছেড়ে যায়নি। যখন আমরা ২০১৬ সালের বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করি, তখন মনে হয়েছিল যেন সব পরিশ্রমের ফল অবশেষে পাওয়া গেছে।”