ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২:৪৫, ১৫ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ০৯:০৩, ১৬ আগস্ট ২০২৫
ভারত ও পাকিস্তানে গত ২৪ ঘণ্টায় আকস্মিক বন্যায় ২৮০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু
সীমান্তবর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে গত ২৪ ঘণ্টায় আকস্মিক বন্যায় ২৮০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ দুটির পাহাড়ি দুটি জেলায় প্রবল বৃষ্টিতে আরও কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। প্রায় ১,৬০০ মানুষকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে, খবর স্কাই নিউজের।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রত্যন্ত হিমালয় অঞ্চলের গ্রাম চাসোতিতে বৃহস্পতিবার আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। গ্রামটি জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে অবস্থিত।
জম্মু থেকে প্রায় ৮৫ মাইল (১৩৬ কিমি) উত্তর-পূর্বে অবস্থিত চাসোতি গ্রামটি মাচাইল মাতা মন্দিরের বার্ষিক হিন্দু তীর্থযাত্রার পথে যানবাহনের জন্য শেষ গ্রাম।
এই বন্যায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন এবং কর্মকর্তারা মনে করছেন তাদের অনেকেই বন্যায় ভেসে গেছেন। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় আরও ভারী বৃষ্টি এবং বন্যা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারীরা অন্তত ৩০০ জনকে উদ্ধার করেছেন, তবে রাতভর উদ্ধার অভিযান বন্ধ ছিল।
পাকিস্তানের কিছু উত্তরাঞ্চল এবং ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর বন্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ২৪৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বুনার জেলায় ১৫৭ জন মারা গেছেন। কর্তৃপক্ষ সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
প্রাদেশিক জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র বিলাল ফাইজি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মানসেহরা জেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে ১৩০০ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে, যারা আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে সিরান উপত্যকায় আটকা পড়েছিলেন।
একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার খারাপ আবহাওয়ার কারণে বন্যা-আক্রান্ত উত্তর-পশ্চিমের বাজৌর অঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রী বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দুই পাইলটসহ হেলিকপ্টারে থাকা পাঁচজনের সবার মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা হিমবাহ হ্রদ ফেটে আকস্মিক বন্যার জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য জনগণকে সতর্ক করেছে।
জুলাই মাস থেকে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চল একাধিক বন্যার শিকার হয়েছে, যার ফলে পাকিস্তান ও চীনের সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও ভ্রমণ পথ কারাকোরাম হাইওয়ে বরাবর ভূমিধস হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন-এর এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই সপ্তাহে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২৪ জুন থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত পাকিস্তানে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ১০% থেকে ১৫% বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।