শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩:১৭, ৭ নভেম্বর ২০২৫
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে বিশেষ অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত।
বাবার সঙ্গে নাটক নিয়ে ৩৭ বছর যুক্ত থাকার সুবাদে নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে পৌলমীর। সেই সবই ভাগ করে নেবেন তিনি।
দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর। ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর প্রয়াত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাংলা চলচ্চিত্রজগতে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। সেই দিনকে স্মরণ করে শুরু হল ‘সৌমিত্র সম্মান’। রিপোর্ট আনন্দবাজার পত্রিকার।
অনুষ্ঠানের নাম— ‘তিন ভুবনের পারে’। চলচ্চিত্র, থিয়েটার ও কবিতা— এই তিন ক্ষেত্রে সম্মানিত করা হবে শিল্পীদের। অনুষ্ঠানের নির্দেশক জয় দত্তগুপ্ত বলেন, “গানে, গল্পে, আবৃত্তি, নাটক এবং স্মৃতিচারণায় সে দিন আমরা পাব অনেক অজানা এবং অচেনা ‘সৌমিত্র’কে। সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারায় যাঁরা প্রতিনিয়ত বাংলা ও বাঙালিকে সমৃদ্ধ করে চলছেন, সীমিত সাধ্যের ভিতরে আমরা তাঁদের শ্রদ্ধা জানাব।”
চলচ্চিত্রের জন্য সম্মানিত হবেন মাধবী মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও যীশু সেনগুপ্ত। নাটকের জগৎ থেকে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, দেবশঙ্কর হালদার এবং কবিতার ক্ষেত্রে শ্রীজাত ও সুবোধ সরকার সম্মানিত হবেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় থাকবেন শোভনসুন্দর বসু, সাহেব চট্টোপাধ্যায় এবং সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী বসু।
পৌলমী বসু বলেন, “বাপির জীবন নিয়ে কথা বলব। বাপির সঙ্গে নাটক নিয়ে ৩৭ বছর যুক্ত ছিলাম। সেই সব অভিজ্ঞতার কথাও হয়তো উঠে আসবে। নাটকের কিছু অংশও অভিনয় করে দেখাব।”
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল শোভনসুন্দরেরও। তিনি সেই স্মৃতি হাতড়ে বলেন, “আমাদের মেদিনীপুরের বাড়িতেও সৌমিত্রকাকু গিয়েছিলেন। বাবার সঙ্গে পরিচয় ছিল। সেই সূত্রে আমার সঙ্গে পরিচয়। অনেক মুহূর্ত কেটেছে ওঁর সঙ্গে। আবৃত্তি নিয়েও বহু পরামর্শ পেয়েছিলাম ওঁর থেকে। ‘তিন ভুবনের পারে’র মতো অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। শেষের দিকে ওঁর কিছু অপ্রচলিত লেখা সেই দিন পাঠ করব।” ১৬ নভেম্বর রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে এই অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হবে।