শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪:৫৩, ৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
পরিপূর্ণ সবজির তুলনায় মাইক্রোগ্রিনস বেশি পুষ্টিগুণ-সম্পন্ন বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। আর কৃষিবিদদের মতে, বাড়ির যেকোনো জায়গায় এটি সহজেই উৎপাদন করা যায় বলে বাংলাদেশে এর উপযোগিতাও বেশি। খবর বিবিসি নিউজ বাংলা'র।
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার খাদ্যের পুষ্টিগুণ কমিয়ে দিচ্ছে। কৃষি গবেষক ও পুষ্টিবিদদের এমন আলোচনার মধ্যেই ব্যক্তি পর্যায়ে এই সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে সামনে এসেছে মাইক্রোগ্রিনস।
কোনোরকম রাসায়নিকের ব্যবহার ছাড়াই ঘরোয়াভাবে মাইক্রোগ্রিনস উৎপাদন করা যায়। এটি পরিপক্ব শাকসবজির চেয়েও প্রায় চার গুণ পর্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বলে জানান পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে, মাইক্রোগ্রিনস অবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন, কোষ্টকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিকসহ নানা রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়া মানুষের শরীরে আয়রন ও পটাশিয়ামের চাহিদাও পূরণ করতে পারে মাইক্রোগ্রিনস। চুল পড়ার সমস্যা ও রক্ত স্বল্পতা নিরসণেও এটি কার্যকর।
পরিপূর্ণ সবজির তুলনায় মাইক্রোগ্রিনসে ভিটামিন সি, ই, কে ও বিটা ক্যারোটিন বেশি পরিমাণে থাকে। অধিক পুষ্টিগুণের কারণে মাইক্রোগ্রিনকে বলা হয় 'সুপার ফুড'।
খাদ্য চাহিদা মেটাতে প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে গোটা বিশ্ব। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো স্বল্প আয়তনের অধিক জনসংখ্যার দেশগুলোতে পরিস্থিতি দিন দিন জটিল আকার ধারন করছে। এমন বাস্তবতায় ঘরোয়া পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে কৃষি উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হয়েছে মাইক্রোগ্রিনসের মাধ্যমে।